বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৪ জুন নবান্ন সভাঘরে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের ডাকা হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে সেই বৈঠকের লাইভ সম্প্রসারণও হয়। সেখানেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া মধ্য় আসনের বিধায়ক অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে ‘নালিশ’ করে গ্রেফতার হন একজন যুবক। এরপর এরশাদ সুলতান ওরফে শাহিন নামের সেই যুবকের পরিবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বুধবার সেই মামলাতেই বিরাট নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।
রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে ওই যুবকের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, এতে একজন নাগরিকের বাক্ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে পুলিশ। এরপরেই সেই যুবককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন জাস্টিস সিনহা (Justice Amrita Sinha)। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
আজ ওই মামলার শুনানিতে পুলিশকে (Police) কার্যত ভর্ৎসনা করে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করে বা ক্ষোভ জানায় তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে? যার বিরুদ্ধে মন্তব্য করা হয়েছে, সেই অরূপ রায় কি অভিযোগ করেছেন? পুলিশ এই ঘটনায় নাক গলিয়েছে। এর মধেয় তাদের ঢোকার কথা নয়, এক্তিয়ারও ছিল না’।
আরও পড়ুনঃ ৫ মাস পর জেল থেকে মুক্তি! বেরিয়েই আরাবুলের ‘হুঙ্কার’, ‘ভাঙর কেউ কাড়তে পারবে না’
জাস্টিস সিনহা বলেন, দু’জনের মধ্যে সমস্যা অথবা কাদা ছোড়াছুড়ি হল, এদিকে তৃতীয় একজন সেটা নিয়ে নালিশ জানানোয় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নেবে? এটা কি আইন? প্রশ্ন করেন তিনি। এরশাদকে কোথা থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, এদিন সেটাও জানতে চান বিচারপতি।
উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, এরশাদকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ার কারণে গত ৩০ জুন তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এরশাদের পরিবারের দাবি, নোটিশ পাওয়ার পর এরশাদ থানায় গিয়েছিল। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ সেখানে আটকে রাখার পর গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারি নিয়ে দুই তরফের থেকে দুই রকম দাবি করা হয়েছে। সেই কারণে আজ রাজ্যের উত্তর শোনার পর জাস্টিস সিনহা গত ৩০ জুনের শিবপুর থানার গোটা দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেন।