বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাবরি মসজিদ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বাবরি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এই অভিযোগ তুলে বুধবার কলকাতা হাইভিকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের বেঞ্চে উঠেছে। আগামী সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কী অভিযোগ মামলাকারীর?
মামলাকারীর দাবি, ‘বাবরি মসজিদ’ নামটির সঙ্গে দেশজোড়া অযোধ্যার বাবরি মসজিদ-রামজন্মভূমি বিতর্ক জড়িয়ে আছে। এই নামে নতুন মসজিদ নির্মাণ শুরু হলে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, তৈরি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছাড়াই হুমায়ুন কীভাবে এই নির্মাণ কাজ শুরু করলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
মামলাকারীর বক্তব্য, এই কাজ ভারতের সংবিধানের ১৪, ২১ এবং ২৫ নম্বর ধারায় দেওয়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। তাই আদালত (Calcutta High Court) যেন দ্রুত এই নির্মাণে স্থগিতাদেশ জারি করে।
উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ভাঙার বার্ষিকীর দিনেই ভরতপুরে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। তারপর থেকেই বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় উঠে আসেন। ৪ ডিসেম্বর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে একই বিষয়ে এর আগেও একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলায় আদালত (Calcutta High Court) রাজ্যকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। তবে আদালত সরাসরি নির্মাণে হস্তক্ষেপ করেনি।
শুনানিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদে অশান্তি হয়েছিল। সেই কারণে ১৯ কোম্পানি সিআইএসএফ ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। রাজ্যের তরফেও জানানো হয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ যথেষ্ট সতর্ক।
কী বলেছিলেন হুমায়ুন কবির?
বহিষ্কারের পরেও হুমায়ুন কবির একের পর এক মন্তব্য করেছেন বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে শহিদ হলেও তিনি মসজিদ নির্মাণ করবেন। তাঁর দাবি, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বেলডাঙায় মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আর তার ঠিক আগের দিন এক লক্ষ মানুষের কণ্ঠে কোরান পাঠের আয়োজন করা হবে।

আরও পড়ুনঃ চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে মার! “সব ক’টাকে গ্রেপ্তার করিয়েছি”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এই আবহেই ফের নতুন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। এবার আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই এখন নজর সকলের।












