বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি হল কি না, তা ঘিরেই বুধবার উত্তাপ ছড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মুখবন্ধ খামে পুলিশ জমা দিল তদন্তের রিপোর্ট (report)। সেই রিপোর্টে ছিল গোপন জবানবন্দি (secret deposition) ও মেডিক্যাল রিপোর্ট (medical report)। বিচারপতি সৌমেন সেন নিজেই সেই নথি খুলে দেখেন। শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী অরিন্দম জানা।
তাঁর কথায়, “আমরা আপাতত তদন্তে সন্তুষ্ট। এখন যদি রিপোর্টের কপি দেওয়া হয়, তাহলে বিস্তারিত জানতে পারব তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে।” পুলিশ জানায়, এক মাস পর আবার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
গোপন জবানবন্দি, মেডিক্যাল রিপোর্টে কী আছে?
এই মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হল মেডিক্যাল রিপোর্ট (medical evidence) ও ভিডিও ফুটেজ। এই রিপোর্টেই উঠে এসেছে নির্যাতনের ধরন ও সময়ের তথ্য। তা খতিয়ে দেখেই তদন্তের অগ্রগতি বিচার করছেন আদালত (Calcutta High Court)। পাশাপাশি কসবা থানাও আলাদা করে একটি হলফনামা (affidavit) জমা দেয়।
এদিন কলেজ কর্তৃপক্ষও একটি স্বাধীন রিপোর্ট পেশ করে। তারা জানায়, অভ্যন্তরীণ তদন্তও চলছে এবং সব সহযোগিতা করা হচ্ছে পুলিশকে। তবে তদন্তে গতি আনতেই আদালত চাইছে নিয়মিত অগ্রগতি রিপোর্ট।
নজরে হাইকোর্ট (Calcutta High Court), পরের রিপোর্ট এক মাস পর
বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, এক মাস পরে ফের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তদন্তে কোনও গাফিলতি আছে কি না, সেটাও তখন খতিয়ে দেখা হবে। গোপন জবানবন্দি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসার পর এখন সবার নজর আগামী প্রতিবেদনের দিকে। আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে খবর, কসবাকাণ্ডের ভিডিও (video) ও মেডিক্যাল রেকর্ড তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে। পুলিশ যদি নিরপেক্ষতা বজায় রাখে, তাহলে প্রমাণ লোপাট রোখা সম্ভব বলেই মত আইনজীবী মহলের।
তদন্ত সন্তোষজনক না ভেতরে চাপা চাপ?
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা তদন্ত নিয়ে এখনই প্রশ্ন তোলার জায়গায় নেই। কিন্তু মুখ বন্ধ থাকলেও, তদন্ত (investigation) ঘিরে চাপা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পরবর্তী শুনানি থেকেই হয়তো স্পষ্ট হবে, এই মামলায় কতটা স্বচ্ছতা আসছে।