বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআই (CBI) কিংবা ইডির (ED) হেফাজতের হাত থেকে বাঁচার জন্য বহু সময় এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি হন তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীরা। অতীতে একাধিকবার শাসকদলের বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগ এনেছে বিরোধী দলগুলি। তবে এদিন প্রকাশ্যে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের দাবি, “চিকিৎসার নামে দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে চাইছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।” এমনকি হাসপাতালের তরফ থেকে ইডিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত এদিন তোলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তবে এদিন শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশ, “রাজ্যের বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)।”
উল্লেখ্য, গতকাল সকালে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পরবর্তীতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করার পর আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে অসুস্থতা অনুভব করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এরপরেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির আবেদন জানায় ইডি। এক্ষেত্রে তাদের দাবি, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতাল কিংবা কমান্ডে ভর্তি করা হোক।”
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী দাবি করেন, “কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কোন রকম সহযোগিতা করছে না এসএসকেএম হাসপাতাল। এমনকি তাদের তরফ থেকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। ইএসআই হাসপাতাল দ্বারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘ফিট’ জানানোর পরেও এসএসকেএম হাসপাতালে তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করানোর নির্দেশ সঠিক নয়।” এরপরেই দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করার পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রভাবশালী’ তকমা প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ করেন ইডি আইনজীবী।
তিনি জানান, “অসুস্থতার নাটক করে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রবেশ করতেই ডনের মতো আচরণ করে চলেছেন তৃণমূল নেতা।” এমনকি এরপরে ইডি দ্বারা দাবি করা হয় যে, রাজ্যের বাইরে কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হোক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে শেষ পর্যন্ত এদিন রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিকিৎসা করানোর জন্য বাংলার বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না।” এক্ষেত্রে বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।
এদিন শুনানি চলাকালীন আদালত বলে, “দিল্লি এইমস হাসপাতাল কিংবা ভুবনেশ্বর হাসপাতালে চিকিৎসকরা এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষা করুক। তবে রাজ্যের বাইরে কখনোই নিয়ে যাওয়া যাবে না তাঁকে।” এক্ষেত্রে পরবর্তীতে ইডির পদক্ষেপ কি হয়, সেটাই দেখার।