বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০০ দিনের কাজ (100 days’ work) নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বহুদিনের। রাজ্যের দাবি, বাংলার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। ওদিকে কেন্দ্রের পাল্টা অভিযোগ হিসেবের গোলমালের জেরে মেলেনি টাকা। এই আবহে এবার আদৌ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাংলায় একশো দিনের কাজ হচ্ছে কি না রাজ্যের কাছে জানতে হাইকোর্ট।
ঠিক কি বলল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)
বৃহস্পতিবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা উঠেছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের নির্দেশ ওই প্রকল্পে উঠে আসা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান হয়েছে। প্রকল্পের কাজ যাতে কোনোভাবেই বন্ধ না হয়, সেই বিষয় রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের জেরে বিগত দু’বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিন আদালতের নির্দেশ, ওই প্রকল্প ঘিরে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্পের কাজ যাতে বন্ধ না হয়। এই বিষয়ে আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের থেকে কাজের খতিয়ান চেয়েছে উচ্চ আদালত। ১০০ দিনের কাজ আদৌ চলছে কি না তা জানানতে হবে রাজ্যকে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকারের ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে আগেই আদালতে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো জব কার্ড শনাক্ত করতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় হাইকোর্ট। কেন্দ্রের থেকে টিম এসে অনুসন্ধান চালায় রাজ্যের একাধিক জেলায়। সেই কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গত বছর মার্চ মাসে প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন: বিকেলে আরও বাড়বে বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় জারি হল রেড অ্যালার্ট: আবহাওয়ার খবর
হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতিও। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরে কাজের পরও শ্রমিকরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না বলে মামলা হয়েছিল। আগে এই প্রাপ্য টাকা নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দিল্লিতে গিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন। শেষমেষ সুরাহা না হওয়ার নিজের কোষাগাড় থেকে পুজোর আগে রাজ্য সরকার বকেয়া মিটিয়েছিল।