বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডে বর্তমানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গত রবিবার এই এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে। প্রাণ হারান ১০ জন, আহতের সংখ্যা একাধিক। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বেআইনি নির্মাণের কথা কার্যত মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এরপর থেকেই সুর চড়াতে শুরু করেন বিরোধীরা। গত মঙ্গলবার বিজেপি নেতা রাকেশ সিং এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এবার সেই মামলাতেই রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হল।
গার্ডেনরিচে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে (Garden Reach Building Collapse) প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন নিরীহ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার একাধিক বাড়ি। এবার এই ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, আক্রান্তদের পুনর্বাসনের জন্যেও বা কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। পাশাপাশি আহতদের উপযুক্ত ব্যবস্থা করা এবং ক্ষতিপুরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বেআইনি নির্মাণ যাতে না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব যে সকল অফিসারের কাঁধে রয়েছে, তাঁদেরকেই তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নিয়েও কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘এই তথ্য হাতে এলে…’ ! গার্ডেনরিচ কাণ্ডে পুরসভার চাপ বাড়ালেন শুভেন্দু, নিলেন এই বিরাট পদক্ষেপ
কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ কী করবে? গুলি ছাড়া রাইফেল হাতে সৈনিকদের সীমান্তে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা এদের। দু’চাকায় চেপে তারা এলাকায় যাবে, এরপর লোকের হাতে মার খাবে’। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচ এলাকায় বহুতল ভেঙে পড়ার পর একাধিকবার প্রশাসনকে নিশানা করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং স্থানীয় কাউন্সিলর শামস ইকবালের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে আরটিআই ফাইল করেন তিনি। এতে কলকাতা পুরসভার চাপ আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।