বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পূর্বের শুনানিতে রাজ্যের ৭ জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার কথা বললেও আজ প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, নির্দেশ না মানলে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেব। “আমাদের নির্দেশকে কার্যকর না করার মত পরিস্থিতি যদি তৈরি করেন আমরা নিশ্চুপ দর্শক হয়ে বসে থাকব না।” আজ আদালতে কড়া মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
এদিন আদালতে আর কী কী বললেন প্রধান বিচারপতি? বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাবে বলেন, ‘আমি কমিশনকে উপদেশ দেওয়ার জন্য বসে নেই যে আপনারা উচ্চ আদালতে যান। আপনাদের হাতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আপনারা যদি আমাদের নির্দেশকে কার্যকর না করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেন, তাহলে কিন্তু আমরা নিশ্চুপ দর্শক হয়ে বসে থাকব না।’
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক মত আপনারা আমাদের নির্দেশকে কার্যকর না করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।’ যদিও এরপর রাজ্য আদালতে পাল্টা সওয়াল করে। রাজ্য তরফে বলা হয়, পরশু ভাঙ্গড়ে আইএসএফ ১৫ হাজার সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন পেশ করতে গিয়েছিল। সেই দলের কর্মীরাই মনোনয়ন কেন্দ্র ভাঙচুর করেছে।
পাশাপাশি বিজেপির দুই নেতা দুই জেলায় অশান্তি চালিয়েছে বলেও আদালতে জানায় রাজ্য। জানানো হয় বিজেপি ও বিরোধীরাই অশান্তি পাকিয়েছে রাজ্য জুড়ে। সব শুনে প্রধান বিচারপতির বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পুলিশ পদক্ষেপ করুক।’
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত মামলার রায়দান হয়েছে। বিরোধীদের দাবি করা মনোনয়নের বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ না করলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে আবেদন জমা পড়েছিল, তাতে সায় দিয়ে আদালত জানিয়েছিল শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, নিরাপত্তা শান্তি বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীও নামাতে হবে। সেদিনই তৎক্ষণাৎ রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।