বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশ (Bangladesh) বিতর্ক এবার এসে পড়ল সটান পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বাংলাদেশ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্নে সরাসরি বাংলাদেশের (Bangladesh) নাম উল্লেখ করা না হলেও ইঙ্গিতটা যে পড়শি দেশের দিকেই ছিল, তেমনটাই মনে করছেন অধ্যাপকরা। কিন্তু ওই প্রশ্নে থাকা ‘গলদ’ নিয়েই মূলত তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে প্রশ্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পঞ্চম সেমিস্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি বিশেষ প্রশ্ন নিয়েই বিতর্ক। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘২০২৪ সালে ভারতের প্রতিবেশী দেশের কোন রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন?’ বাংলাদেশের (Bangladesh) নাম সরাসরি না থাকলেও প্রশ্নটি এমন ভাবে করা হয়েছে যার জেরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
কী নইলে বিতর্ক: অধ্যাপকদের বক্তব্য, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে এসেছেন, প্রশ্নটা সেটা নিয়েই করা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁকে তো রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি। আর এটা নিয়েই মুলত বিতর্ক। গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে হাসিনা ভারতেই রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছিল, হাসিনার ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আরো পড়ুন : অনুপমকে ছেড়ে ঘর বেঁধেছিলেন পরমব্রতর সঙ্গে, বছর ঘুরতেই মা হচ্ছেন পিয়া
কী বলছেন অধ্যাপকরা: তখনই হাসিনাকে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়ার জল্পনা খারিজ করে দেন তাঁরা। আধিকারিকরা বলেছিলেন, কাউকে আশ্রয় দেওয়ার মতো কোনো নির্দিষ্ট আইন ভারতে নেই। তাহলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে এই উল্লেখ কীভাবে করা হল, প্রশ্ন উঠছে। অধ্যাপকদের মতে, এটা ‘অমার্জনীয় ভুল’। তাছাড়াও অধ্যাপকরা বলছেন, হাসিনা বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন সরকারের প্রধান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন।
আরো পড়ুন : মাত্র ৬ মাসেই শেষ “বেঙ্গল টপার” প্রোডাকশনের সিরিয়াল, চ্যানেল বদলে নতুন গল্পে এন্ট্রি নায়কের
তবে আরো একটি দিকও উঠে আসছে এক্ষেত্রে। অনেকে বলছেন, পড়ুয়াদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জ্ঞান পরীক্ষা করতেই এই প্রশ্নটা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবেই ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ এর কথা উল্লেখ করা হতে পারে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, প্রশ্নটি নিয়ে এখনো লিখিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি। মোট তিনটি প্রশ্নপত্রের সেট থেকে একটি চূড়ান্ত করা হয়ে থাকে। কোনো ভুল থাকলে বৈঠকের সময়ই তা খতিয়ে দেখা হয়।