‘ভোট লুঠ হয়েছে, দম থাকলে এই ভোট বাতিল করে পুনর্নিবার্চন করুন’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোট বাতিল করে পুর্ননির্বাচনের দাবি জানিয়ে প্রথমে রাজ্যপালের দারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গেলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে বোমাবাজি থেকে শুরু করে ছাপ্পাভোটসহ একাধিক অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা।

এদিন সন্ধ্যায় বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী হাজির হন রাজভবনে। সেখানে গিয়ে তারা অভিযোগ জানায়, ‘মাত্র ২০ শতাংশ ভোট হয়েছে। কলকাতার ভোটাররা ঠিকমত ভোট দিতে পারেনি। রিগিং হয়েছে বাকিটা’।

jvjvbjh

এরপর সময় নষ্ট না করে সেখানে থেকে চলে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। বিজেপি নেতৃত্বরা সেখানে যেতেই বাড়িয়ে দেওয়া হয় কমিশনের নিরাপত্তা, শুভেন্দু অধিকারী আবার বচসায় জড়ান পুলিশের সঙ্গেও। সেখানে গিয়ে শুভেন্দু অভিযোগ জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনকে যেমন নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন, ঠিক একই ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের অফিসটাও। এই মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের অফিসে আর কেউ আসবে না’।

তিনি আর বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তো ৬ হাজার বুথে সিসিটিভি লাগাতে হয়েছে। তাই কিছুই করতে হবে না, শুধু কেন্দ্রীয় কোনও ল্যাবে গিয়ে সেই সিসিটিভি ফুটেজগুলো ফরেন্সিক অডিট করিয়ে দেখুন’।

নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কিমের আর একটা প্রতিরূপ দেখলেন মানুষজন। কিভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে হয়, ভোট লুঠ করতে হয়- তা দেখিয়ে দিলেন। কমিশনকে বলেছি, দম থাকলে, এই নির্বাচন বাতিল করে পুর্ননির্বাচন করুন। পুরোপুরি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা। এ জিনিস চালাতে পারবে না পিসি-ভাইপো। বিধানসভায় যেমন সিপিএম, কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছে, তেমনই তৃণমূলও শূন্য হয়ে যাবে’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর