বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্যান্সারের চিকিৎসায় এবার এক যুগান্তকারী খবর প্রকাশ্যে এল। মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা ইতিমধ্যেই এমন একটি ওষুধ আবিষ্কার করে ফেলেছেন যে, সেটির কারণেই দ্বিতীয়বারের জন্য শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে গিয়েছে। আর এই ওষুধের দাম মাত্র ১০০ টাকা।
দ্বিতীয়বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি এই ওষুধের মাধ্যমে ক্যান্সারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও অনেকখানি কমে যাবে। অর্থাৎ, কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো চিকিৎসা পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৫০ শতাংশ কম হবে রোগীর শরীরে। বিগত ১০ বছর ধরে এই ওষুধটিকে নিয়ে গবেষণা চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরোও পড়ুন : আগামী বছরের মাধ্যমিকের নিয়মে আসবে নয়া পরিবর্তন! পড়ুয়াদের আগেভাগেই সতর্কবাণী WBBSE’র
এই ওষুধের ফলে নাকি মৃত ক্যানসার সেলের ক্রোম্যাটিন আর নতুন করে ক্যানসার ঘটাতে পারবে না। ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্যই গবেষকরা অবশ্য ক্যানসার আক্রান্ত ইঁদুরের শরীরে রেসভারাট্রোল এবং কপার যুক্ত প্রো-অক্সিডেন্ট ট্যাবলেট দিয়েছিলেন। খুব তাড়াতাড়িই মিলতে পারে এই ওষুধের অনুমোদন।
আরোও পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই হঠাৎ বিস্ফোরনে কেঁপে উঠল বিদ্যালয়! তোলপাড় ভাঙরে
এখন, ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটির অনুমোদন দিলেই আশার আলো দেখতে পাবেন হাজার হাজার ক্যান্সার রোগী। এরপরে মনে করা হচ্ছে জুন-জুলাই মাস থেকেই এই ওষুধ বাজারে উপলব্ধ হতে পারে। এই ওষুধের বিষয়ে গবেষকদের বক্তব্য, ইঁদুর এবং মানুষ, উভয়ের ওপরেই ক্যানসারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাবের ওপর এই নয়া ওষুধের পরীক্ষা করা হয়েছে।
তবে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্যান্সার আটকানোর বিষয়ে মানুষের ওপরে এখনও পরীক্ষা হয়নি। আগামী ৫ বছরে সেই পরীক্ষাও শেষ হবে। মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ডঃ রাজেন্দ্র বাদভে এক সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, ‘এই ওষুধ তৈরির জন্যে মানুষের ক্যান্সার কোষ ইঁদুরের মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল। এরপর তাদের শরীরে টিউমারের জন্ম নেয়। এরপর সেই ইঁদুরদের অপারেশন হয়, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েওশনও হয়। দেখা গিয়েছে, এই ক্যানসার সেল যখন মরে যায়, তা ক্রোম্য়াটিন নামক পদার্থে পরিণত হয়ে শরীরের অন্যত্র চলে যায় এবং পরবর্তীতে সেখানকার কোষকে ক্যানসার সেলে পরিণত করতে পারে।’