কীভাবে ২০২১ সালে জিতে এলেন মমতা? শাসকের অস্বস্তি বাড়িয়ে মামলার শুনানি শুরু কলকাতা হাইকোর্টে

Published on:

Published on:

mamata banerjee calcutta high court

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সব শিবিরে। এর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বড় আপডেট। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন বাদে এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

কী নিয়ে মামলা?

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি ভবানীপুর থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। তাঁর এই নির্বাচনকেই কেন্দ্র করে দায়ের হয়েছে মামলার। শুধু ২০২১ নয়, ২০১১ সালে যেবার মমতা মুখ্যমন্ত্রী হন, সেবারও সরকার গঠনের পর ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিধানসভার উপ-নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন৷

এরপর ২০১৬ সালেও সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ওই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই জয়ী হন মমতা৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিঁনি। কিন্তু বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন৷ তবে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা৷

calcutta high court mamata banerjee

নিয়ম মত মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য যে কোনও মন্ত্রী পদে বসার ৬ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিধায়ক হয়ে আসতে হয়। সেই সময়ই ভবানীপুর কেন্দ্রের তৎকালীন জয়ী প্রার্থী শোভনদেব চট্টোোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জিতে আসেন হন মমতা। এই বিষয়ের বিরোধীতা করেই আদালতে দায়ের হয় মামলা।

Mamata slams police over TMC leader murders

নির্দিষ্ট একজনকে জেতানোর জন্য এই ভাবে কি উপনির্বাচন করা যায়? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে যান মামলাকারী। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিলেন, ওই কেন্দ্রে নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকটের সম্মুখীন হতে হবে।

calcutta high court(17)

আরও পড়ুন: আদালতের অনুমতি সত্ত্বেও অভয়ার বাবা-মায়ের উপর লাঠিচার্জ! পুলিশের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার মামলা দায়ের হাইকোর্টে

মুখ্যসচিবের জারি করা বিজ্ঞপ্তির বিরোধীতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২১ সালের নভেম্বরে নির্দেশ দেন, নতুন করে এই মামলা নথিভুক্ত করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াই চলছিল এতদিন। ২০২৫ এ এসে সেই প্রক্রিয়া শেষে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।