বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরুপাচার কাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই দপ্তরে ডেকেছিল গোয়েন্দারা। তবে বীরভূম থেকে কলকাতা পৌঁছে সিবিআই দপ্তরে না গিয়ে এসএসকেএম হসপিটালে ভর্তি হন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন উঠল
মঙ্গলবার বীরভূম থেকে কলকাতায় পৌঁছালে যখন সবাই ধরে নেয় যে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে যাবেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হসপিটাল-এ ভর্তি হন। এরপর একে একে বিরোধীরা সকলে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুললেও তৃণমূল দল এসব বিতর্ককে পাত্তা দিতে নারাজ বলেই মনে হয়।
তবে এবার তৃণমূল নেতার গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো সিবিআই আর তাতেই নতুন ক্রে শুরু হয়েছে জলঘোলা। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে গাড়ি করে ‘কেষ্ট’ তথা অনুব্রত মণ্ডল যখন কলকাতায় আসেন এবং পরে গাড়ি নিয়ে যখন তিনি এসএসকেএম-এ যান, সেইসময় তাঁর গাড়িতে লাগানো ছিল লালবাতি। ফলে যেখানে মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে তাঁর গাড়িতে কিভাবে লালবাতি স্থান পেল, এ বিষয়ে প্রশ্ন করে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিমানবন্দর, বন্দর ও খনির গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা তাদের গাড়িতে হলুদ আলো ব্যবহার করতে পারবেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা যেই গাড়ি করে কলকাতায় আসেন, সেই গাড়িটি বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে নথিভুক্ত রয়েছে। এ বিষয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসনকে ধরা হলে তারা অবশ্য এ বিষয়ে কোন উত্তর দিতে পারেনি। ফলে মুখ্যমন্ত্রী থেকে যেকোনো সাংসদ যখন লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন না, সেখানে একজন জেলা সভাপতি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল কিভাবে এই দুঃসাহসিক কাজ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।