বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টানা ৩৭ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর মার্চ মাসে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন অয়ন শীল (Ayan Sil)। একাধারে প্রোমোটার ও প্রযোজক অয়নের গ্রেফতারির পর থেকেই ৯০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গিয়েছে বঙ্গের নিয়োগ মামলা। শুধু মাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয় পুরসভার নিয়োগেও বছরের পর বছর চলেছে দেদার দুর্নীতি, খবর এমনটাই।
তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি! আর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। এরই মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এবার সিবিআই (CBI) পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে যেসমস্ত পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইতিমধ্যেই ইডির কাছ থেকে তা সংগ্রহ করছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, একসাথে প্রায় ৬০টি পুরসভায় নিয়োগের দায়িত্ব পেয়েছিল পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজোন’। তবে কার দৌলতে এই বরাত হাতে পেয়েছিল অয়ন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মরিয়া তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন পুরকর্তারা সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় রয়েছে।
গত মাসে অয়নের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি।সেইসময় দক্ষিণ ও উত্তর দমদম, বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, হুগলি, হালিশহর সহ রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ পরীক্ষার আসল ওএমআর শিট উদ্ধার হয় এই অয়ন শীলের ফ্ল্যাট থেকে। রীতিমতো রেট চার্ট বানিয়ে চলত চাকরি বিক্রি। এমনটাই দাবি ইডির। একেকটি পদের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হত ৮ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
তদন্তকারী সূত্রে আরও খবর, রীতিমতো লোক নিয়োগ করে অযোগ্য প্রার্থীদের ওএমআর শিট পূরণ করার কাজ করত অয়ন। পাশাপাশি সরিয়ে ফেলা হত যোগ্য পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট। নিয়োগের জন্য এতগুলি পুরসভার বরাতই বা কিকরে অয়নের কাছে এল সেই প্রক্রিয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এর পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অয়নের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পাশাপাশি অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।