বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার বোলপুর অভিযান করলো সিবিআই (CBI)। এই একাধিক জায়গায় সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। একাধিক ব্যক্তির বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা হানা দিচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিশেষ সূত্রে খবর, বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই মুহুর্তে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এরই সঙ্গে, সিবিআইয়ের আর একটি দল ব্যবসায়ী সুদীপ রয়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর বোলপুরের একাধিক রাইস মিলে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। আর তারপর বোলপুরে একাধিক জায়গায় অনুব্রতর জমির খোঁজে তদন্ত চালায় সিবিআই। সাফল্যও মেলে। অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। খোঁজ মেলে অনুব্রতর ভগ্নী জামাইয়েরও। বিরাট সম্পত্তির মালিক সেই ব্যক্তিকেও আটক করে সিবিআই। আর তারপরই আজকের এই অভিযান। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই গরু পাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling) শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া তদন্তকারীরা। কেষ্ট ঘনিষ্ঠ একাধিক প্রভাবশালী সিবিআইয়ের নজরে।
বুধবার খুব ভোরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অনুব্রতর গ্রামে ঢোকে সিবিআই-এর টিম। শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, গ্রামের একাধিক বাড়িতেই যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে গ্রামের তিন-চার জনের বাড়িতেও। জানা যাচ্ছে, বিশ্বজ্যোতি নামে ওই কাউন্সিলর অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। অনুব্রতর কাজের দেখাশোনার দায়িত্ব অনেকটাই তাঁর উপর ছিল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কেষ্টর বাড়িতেই থাকতেন দিনের বেশিরভাগ সময়। আজ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কাউন্সিলরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি ও জেরা।
তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর যে ১৭ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টও। অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের টাকা ওই কাউন্সিলরের নামে রাখতেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবার বিশ্বজ্যোতির কাছ থেকেই গরু পাচার সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এদিন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও ২ জনের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তাঁর মধ্যে একজন পুরকর্মী সুমিত রায়। এর পাশাপাশি অনুব্রতর অ্যাকাউন্টট্যান্ট মনীশ কোঠারির বাড়িতেও পৌঁছে গেছে সিবিআই-এর টিম। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জেরা পর্ব। তদন্তকারীদের অনুমান, বোলপুরের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতাদের জেরা করা হলেই প্রকাশ্যে আসবে বহু অজানা তথ্য, যা গরু পাচার মামলার তদন্তে সহযোগিতা করবে বলেই করছে সিবিআই আধিকারিকরা।