বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের সক্রিয় সিবিআই (CBI)। একসময় বাংলায় তোলপাড় ফেলে দেওয়া নারদ কাণ্ড (Narada Scam Case) নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই মামলার অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। এবার এই নারদ কাণ্ডেই তলব করা হল অভিযোগকারী ম্যাথু স্যামুয়েলকে (Mathew Samule)।
প্রায় বছর দশেক আগে নারদ ‘স্টিং অপারেশন’ করেছিলেন ম্যাথু। সেখানে বাংলার তৎকালীন একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ফিরহাদ হাকিম, মুকুল রায়, মদন মিত্র সহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটের নাম আছে সেই লিস্টে। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নামও আছে অভিযুক্তের তালিকায়। যদিও সেই সময় তিনি তৃণমূলের (TMC) অংশ ছিলেন। যদিও এবার অভিযুক্তদের নয়, বরং অভিযোগকারীকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
নির্বাচনের প্রাক্কালে আগামী ৪ এপ্রিল ম্যাথুকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। কলকাতার নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডাকা হয়েছে বলে খবর। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে রাজ্যে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ভোট শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগে ‘নারদ কর্তা’কে ডেকে পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ গায়ে সাদা শাল, কপালে রঙের ছোঁয়া! মদনের পাশে বসে থাকা সুন্দরী রমণী কে? পরিচয়টা চমকে দেবে
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, নারদ কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতেই অভিযোগকারী ম্যাথু স্যামুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। সেই কারণেই আগামী ৪ এপ্রিল তাঁকে সিবিআই দফতরের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিতে যোগদানের পর কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নারদ কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই মামলায় নাম জড়িয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর। তখন তিনি তৃণমূলে ছিলেন, বর্তমানে বিজেপির অংশ। তাঁকে কীভাবে সতীর্থ করছেন? জবাবে অভিজিৎ বলেছিলেন, ‘নারদ একটি চক্রান্ত। অ্যালকেমিস্ট বলে একটা সংস্থা কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। এটা কোনও স্টিং অপারেশনই না’।
অভিজিতের এই বক্তব্যের পর সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাচক্রে নারদ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার জেল খাটা তো বেআইনি। এতে প্রমাণ হয়ে গেল আমায় চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছিল’।