বাংলাহান্ট ডেস্ক : বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে এবার জেরা করতে পারে সিবিআই, এমনটাই খবর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর একের পর এক উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা নিয়ে বেশ চাপে শাসকদল। ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিক এবং এসডিপিও সায়ন আহমেদকে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে নীচু তলার বহু কর্মীকেও। এরপরই জেলার পুলিশ সুপারকেও জেরা করতে চায় সিবিআই।
বগটুই কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা বারবার অভিযোগ তুলেছেন গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক এবং সমাজবিরোধীদের হাত। পুলিশও তাদের সঙ্গে মিলে ছিল এহেন ভয়াবহ অভিযোগও উঠেছে। অনেকেরই মতে সবার মিলিত যোগসাজশেই অকালে ঝরে গেছে এতগুলো প্রাণ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এসেছে এসডিপিও, অনুব্রত মণ্ডল ইত্যাদি হেভিওয়েট নামও। এই দাবিকেই কি তবে এবার গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ সুপারকে তলব করল সিবিআই?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তাদের তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেই রাতে প্রায় ৪০ জনের একটি দল দাপিয়ে বেড়ায় গ্রামে। চলে নারকীয় অগ্নিলীলা। এমনকি দগ্ধ মৃতদেহগুলির অটোপ্সি রিপোর্টে এও স্পষ্ট যে আগুনে পোড়ানোর আগে বীভৎস অত্যাচার চালানো হয় মানুষগুলির উপর। মেরে ভেঙ্র দেওয়া হয় হাত পা। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে লাগানো হয় আগুন। স্থানীয়দের অভিযোগ সেদিন রাতে গ্রামে তাণ্ডব চালায় মৃত ভাদু শেখের দলের ছেলেরাই। এখন অবশ্য গ্রামের চারপাশে টিকির নাগালও পাওয়া যাচ্ছে না তাদের একজনেরও।
এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয় যে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে পুরো ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নামও। ধরা পড়ার পর তাকে একাধিকবার ম্যারাথন জেরাও করা হয়েছে। খতিয়ে দেখ হচ্ছে আনারুল হোসেনের কল রেকর্ড। সেদিন ওই সময় কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল সে দেখা হচ্ছে তাও। অতি শীঘ্রই সামনে আসবে আসল সত্য, বর্তমানে এমনটাই করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।