বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের দুই প্রভাবশালীকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী বেশ কয়েক দফা সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। কয়লা পাচার মামলাতেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আরও এক বিধায়ক তথা মন্ত্রী তাঁদের তালিকায় আছেন বলেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি। তদন্তকারীরা জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ওই মন্ত্রীকে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। এর আগে কয়লা কাণ্ডে মন্ত্রী মলয় ঘটককেও প্রশ্ন করা হয়েছে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও ইতিমধ্যেই তলব করেছে সিবিআই। এ বার ডাক পড়তে চলেছে আর এক অভিযেক-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই মন্ত্রীর। কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে উক্ত সাংসদের আমতলার রাজনৈতিক দফতরের এক তৃণমূল কর্মী এবং বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা পঞ্চায়েত আধিকারিকের স্বামীকেও তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবরে প্রকাশ। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সাংসদের অফিসের ওই দলীয় কর্মীকে এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ দিকে, সেই দলীয় কর্মী ‘তাঁকে অকারণ হেনস্থা করা হচ্ছে বলে’ বিষ্ণুপুর থানায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সিবিআইয়ের এক আইনজীবী।
গত শুক্রবার সিবিআইয়ের শমন পাঠায় শওকত মোল্লাকে। কিন্তু সিবিআই দফতরে অনুপস্থিত ছিলেন শওকত। তাঁর আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, পূর্বনির্ধারিত সরকারি কর্মসূচি ও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান থাকায় তিনি আসতে পারবেন না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন বলেও জানিয়েছেন শওকত।
সিবিআইয়ের এক উচ্চ পদস্থ কর্তা জানান, শওকতের সমস্ত গতিবিধি তাঁদের নজরদারির মধ্যেই রয়েছে। তিনি নিজেও আগাম বার্তা দিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে তিনি হাজির না-হলে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেটা তাঁর আইনজীবীদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে।