বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৩ পেরিয়ে, বর্তমানে ২৪। তবে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তাদের হাতে আরও বহু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তাই তদন্তে সময় প্রয়োজন। ওদিকে পুর নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)।
নতুন বছরে এই প্রথম ঠিক কত জনের অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে তার সংখ্যা কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে সিবিআই। আদালতে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানিয়েছে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তার সংস্থার মাধ্যমে ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে। আর মোট ১,৮২৯ জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে কেউটে। গত বছরই পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির হদিশ মেলে। অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শিক্ষক দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডির হাতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Shil) সূত্র ধরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে।
এই প্রোমোটার অয়ন শীলের সূত্র ধরেই গত বছরের শেষের দিকে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি, সিবিআই। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলে চিরুনি তল্লাশি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: চার দিক থেকে চাপে! ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে বিরাট নির্দেশ বিচারপতি সিনহার, বুধেই তোলপাড়
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলীর বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের পরই আরেক যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। এই শান্তনুর
সূত্র ধরেই উঠে আসে তার ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের (Ayan Shil) নাম। এরপর অয়নের চুঁচুড়ার বাড়ি এবং সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে দাবি তার অফিস ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট, পুর নিয়োগের নথিও ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।
ইডি দাবি করে, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন শীল ৩৫ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার চাকরি আগাম ‘বিক্রি’ করে এই টাকা হাতে আসে অয়নের। এরপর তদন্তে নেমে একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপেরও সন্ধান পায় ইডি। ওই গ্রুপের মাধ্যমেই যাবতীয় দুর্নীতি, চাকরি বিক্রি হয় বলে দাবি করে ইডি। মঙ্গলবার এই দুর্নীতির তদন্তেই আদালতে রিপোর্ট জমা দিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।