বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়লা পাচার (Coal Scam) মামলা নিয়ে আরও একবার সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। এইদিন সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI (CBICentral Bureau of Investigation)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মোট ১২টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সংস্থার দাবি, এদের প্রত্যেকেই নাকি কয়লা পাচার কাণ্ডের সাথে যোগসূত্র রয়েছে।
লোহাচুরি নিয়ে আয়কর তল্লাশির মাঝেই বৃহস্পতিবার সকাল সকাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় সিবিআইয়ের হানা। তদন্তকারী কর্মকর্তারা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে মোট ১২ টি জায়গায় খানাতল্লাশি করে। যারমধ্যে রয়েছে কলকাতার ভবানীপুর, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, মালদহের রতুয়া এবং পুরুলিয়া। CBI-র দাবি, এদের প্রত্যেকেই নাকি অনুপ মাজি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ।
বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, কী ভাবে লালার কালো টাকা হাতবদল হয়েছিল মূলত সেই খোঁজেই শুরু হয়েছে সিবিআই তল্লাশি। এইদিন আসানসোলের স্নেহাশিস তালুকদার নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। এছাড়াও রতুয়ার শ্যামল সিংহ নামক এক ব্যক্তিও রয়েছে সিবিআই-র হিটলিস্টে। এরা দুজনেই নাকি লালা ঘনিষ্ঠ। যার মধ্যে লালার আর্থিক লেনদেনের বিষয়টা দেখভাল করতেন স্নেহাশিস।
আরও পড়ুন : চব্বিশে ফের বাম্পার জয় বিজেপির, মাত্র এত সিটেই থেমে যাবে কংগ্রেস! নয়া সমীক্ষা ঘুম ওড়াল জোটের
এছাড়া ভবানীপুরের ECLএর প্রাক্তন আধিকারিক শ্যামল সিংহের বাড়িতেও পৌঁছেছিল সিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এছাড়াও দুর্গাপুরের বাসিন্দা সৌরভ কুমারের একাধিক ঠিকানায় পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। বেলা ১১ টা পর্যন্ত চলতে থাকে খানাতল্লাশি। এছাড়াও এইদিন আরও একাধিক ব্যক্তির বাড়ির কলিং বেল বেজেছে CBI এর দৌলতে।
সংস্থার অনুমান, লালার কয়লা পাচারের টাকা এদের মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগ হয়েছে। যার মধ্যে ECL আধিকারিক শ্যামল সিংহ বিপুল টাকার বিনিময়ে লালাকে অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দিতেন বলে দাবি তাদের। উল্লেখ্য, সাল ২০২০ তে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই সময় মামলার মূল অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজি এবং গুরুপদ মাজি-সহ চার জন গ্রেফতার করা হয়। লালা সহ বাকি তিনজন জামিন পেলেও গুরুপদ মাজি এখনও তিহার জেলে বন্দি।