বাংলা হান্ট ডেস্ক : নতুন মোড় রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam)! ধৃত কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) ‘বিতর্কিত’ চিঠি মামলায় এ বার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের চিকিৎসককে তলব করল সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। আগামী সোমবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুন্তলের চিকিৎসা এবং হাসপাতালে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হতে পারে। এর আগে, এই বিষয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর পরই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল দাবি করেন যে, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই।
এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও লেখেন কুন্তল। পুলিসের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান কলকাতার হেস্টিংস থানাতেও। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে গত ৯ জুন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে তলব করে সিবিআই। এবার জেলের চিকিৎসককে তলব করা হল। সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআই পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে চিঠি কুন্তল লেখেন নাকি অন্য কাউকে দিয়ে লিখিয়েছেন। তারপর বাকি কথা হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এখন দেখার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কোন তথ্য পায় সিবিআই। এমনকী দেখার বিষয় এটাও আগামী ১৪ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই ফুটেজ পরীক্ষা করে কী রিপোর্ট দেয়।
প্রসঙ্গত ওই চিঠি কান্ডের এর পর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই মামলা থেকে। তবে ওই একই নির্দেশ বহাল রাখেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহও।
এরপর অভিষেককে গত ২০ মে ডেকেছিল সিবিআই। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচী থামিয়ে কলকাতা ফেরেন তিনি। হাজির হন নিজাম প্যালেসে। সে দিন সাড়ে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেককে। তার পর এই তদন্তে তৃণমূল নেতাকে তলব করে ইডি। কিন্তু তিনি সেখানে হাজিরা দেননি।
চিঠিকে কেন্দ্র করে বিতর্কে গত ৯ জুন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে তলব করেছিল সিবিআই। তাঁকে প্রায় ন’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি বলেছিলেন, ‘গোটা বিষয়টি বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশ ছাড়া মন্তব্য করা ঠিক নয়।’