বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যপুলিশের উপর ভরসা নেই কেন্দ্রের। তাই রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল সিআরপিএফকেই। ওই আধিকারিকদের নিরাপত্তায় ৩৫ জন সিআরপিএফ নিযুক্ত করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
রামপুরহাট গণহত্যা মামলার তদন্তের ভার শুক্রবারই সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতন শনিবার থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে সিবিআই। এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের কাজ থেকে তলব করা হয়েছে রিপোর্টও। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে ৩৫ জন সিআরপিএফ নিযুক্ত করা হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। শনিবার থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে এই বাহিনী। দুর্গাপুরের ১৫৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ন থেকে আনা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
আপাতত রামপুরহাটেই থাকছেন সিবিআই আধিকারিকরা সহ ওই জওয়ানরা। চব্বিশ ঘন্টাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখা হচ্ছে সিবিআই কর্তাদের। তদন্তকারী অফিসাররা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে তদন্তের কাজে গেলেও সেই দলগুলির প্রতিটিরই সঙ্গে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের উপর যে বিন্দুমাত্র ভরসা বা আস্থা নেই কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ থেকে কার্যতই পরিষ্কার সে কথা।
উল্লেখ্য, রামপুরহাটে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পর রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এলাকার একাধিক বাড়ি। অগ্নিদগ্ধ খুন হন বগটুই গ্রামের ১০ জন মানুষ। তারপরই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্যরাজনীতিতে। এই ঘটনায় শাসকদের বিরোধিতা করে মাঠে নামে বিজেপি। বিজেপির করা আবেদনের ফলে মামলার তদন্তভার সিটের হাত থেকে যায় সিবিআইয়ের হাতে। ইতিমধ্যেই ধৃত আনারুল হোসেন সহ ১১ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে সিবিআই।
প্রথম থেকেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। হয়েছে বিস্তর জলঘোলাও। তার সেই কারণেই রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে সিবিআই কর্তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফকেই দিল কেন্দ্র।