বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু প্রকল্পগুলির মধ্যে নিঃসন্দেহে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাস গেলে অর্থসাহায্য তুলে দেওয়া হয় বাংলার মহিলাদের হাতে। এদিকে শুধু রাজ্য নয়, কেন্দ্র সরকারেরও একাধিক প্রকল্প, বৃত্তি (Scholarship) রয়েছে যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
কিভাবে মিলবে বৃত্তি (Scholarship)?
যেসব পড়ুয়ারা মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও টাকার অভাব উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য দুর্দান্ত প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। শুধুমাত্র একক মেয়ে সন্তান হলেই এই সুবিধা মিলবে। স্বীকৃত ভারতীয় কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলে এই বৃত্তি বা স্কলারশিপের সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৩৬,২০০ টাকার আর্থিক সহায়তা (Scholarship) দিয়ে থাকে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী পড়ুয়াদের সাহায্যে এই অর্থ দেওয়া হয়। জানিয়ে রাখি, দেশ জুড়ে প্রায় ৩০০০ পড়ুয়া এই বৃত্তির সুবিধা পেয়ে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান বা কলেজের থেকে প্রত্যয়িত কোর্সে যোগদানের তারিখ থেকে বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। জন্য দু বছরের ক্ষেত্রে ৩৬,২০০ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত মানা আবশ্যক। স্নাতকোত্তর কোর্সে প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় ৩০ বছরের কম বয়সী মেয়েরাই কেবলমাত্র বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধান বিচারপতি বলেন, দ্রুত বিচার…’, ঘুরল মোড়! সুপ্রিম কোর্টে DA মামলায় বিরাট আপডেট
পাশাপাশি পরিবারের একমাত্র মেয়েই কেবলমাত্র এই বৃত্তি পাবে। যদি একটি পরিবারে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে থাকে তাহলে মেয়েটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না। ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে।