বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুরু হয়ে গেছে কাউন্ট ডাউন। চাঁদের ঘরে পৌঁছাতে আর মাত্র একটা স্টেশনই বাকি ছিল। আর এবার সেই শেষ স্টেশনো সফলভাবে পার করে গেল ‘চন্দ্রযান-3’। আর এবার শুরু হয়ে গেছে ‘ডেস্টিনেশন’ মুন। ইসরোর দেওয়া খবর অনুসারে, এখন ১৫৩ কিমি x ১৬৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে ‘চন্দ্রযান-3’।
ইসরো সূত্রে খবর, এবার প্রপালশন Chandrayaan-3 Updates মডিউল এবং ল্যান্ডার মডিউলের আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতির সময়। এবার ইসরোর পাখির চোখ কেবল সফট ল্যান্ডিংর দিকে। চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সফট ল্যান্ডিং অর্থাৎ পালকের মতো অবতরণ করানোই হল একমাত্র চ্যালেঞ্জ।
সহজ ভাষায় বললে, এবার ‘চন্দ্রযান-3’এর থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এরপর আগামী ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে ভারতের এই যানটি। এবং অবশেষে ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। যেখানে আজ পর্যন্ত কেউ পৌঁছায়নি। এই মিশন সফল হলে ভারত হবে প্রথম সেই দেশ যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নিজেদের অস্তিত্ব ছেড়ে আসবে।
আরও পড়ুন : কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! যাদবপুর কাণ্ডে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে গ্রেফতার আরও ৬ পড়ুয়া
এদিকে চাঁদের মাটিতে পৌঁছানো চতুর্থ দেশ হবে ভারত। এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন তাদের ল্যান্ডার চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। এদিকে ভারতের পাশাপাশি রাশিয়াও তাদের স্যাটেলাইট ‘লুনা 25′ পাঠিয়েছে চাঁদের উদ্দেশ্যে। তাদেরও লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। সূত্রের খবর, ‘চন্দ্রযান 3′ এর পাশাপাশি ‘লুনা’ও ঐ একইদিনে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে। তারও মূল লক্ষ্য হল চাঁদের মাটিতে জল আছে কী না তা পরীক্ষা করা।
আরও পড়ুন : ‘না ভেবে কাজ করা উচিৎ নয়, সৌরভকে কড়া সতর্কবার্তা বিরাটের’! আলিয়াকেও করলেন সাবধান
দুটি মহাকাশযানই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করলেও তারা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হবেনা তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে ‘রসকসমস’। রাশিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশে সমস্ত দেশের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা রয়েছে। সেখানে কোন প্রতিযোগিতা নেই। এদিকে ভারতের তরফ থেকেও অভিনন্দন জানানো হয়েছে রাশিয়ান সংস্থা ‘রসকসমস’কে।
আরও পড়ুন : বুলেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর, বাজারে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের নয়া বাইক! ফিচার্স, দামে থাকবে বিশেষ চমক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে সাল ২০১৯ এ চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান 2’। তবে, শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তারই ফলো আপ মিশন হল ‘চন্দ্রযান 3’। ইসরোরএই মহাকাশযান যদি সফল ভাবে চাঁদের পৃষ্ঠ ছুঁতে পারে তবে চাঁদে যাওয়া চতুর্থ দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে ভারত।