বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মাসে সুপ্রিম নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত দু’টি মামলা সরানো হয়েছে। তবে এরপর সেই দুটি মামলা কোন বিচারপতির এজলাসে যাবে সেই নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। ইতিমধ্যেই সেই সুপ্রিম কোর্ট সেই দায়িত্ব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (Cheif Justice of Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানমকে। এরই মধ্যে এবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত দু’টি মামলার নথি তলব করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরানোর নির্দেশ সামনে আসতেই শোরগোল পরে যায় গোটা রাজ্যে। তবে কি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলাই সরে যাচ্ছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে? এই প্রশ্নই উঠে আসে সর্ব মহল থেকে। তবে পরবর্তীতে কলকাতা হাই কোর্টের মে মাসের ‘কজ লিস্টে’ দেখা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও জেলবন্দি প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ সংক্রান্ত মামলা ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুটি মামলা সরানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের কপিতে উল্লেখ আছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত কোনো মামলা থাকছে না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তবে এরপর এই মামলার ভার কার কাছে যাবে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাস থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মামলাকারী সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মালিক সংক্রান্ত সমস্ত নথি হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের পক্ষ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এরপর সুপ্রিম নির্দেশ মতো এই দুই মামলার নথি যাবে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন এই দুটি মামলার দায়িত্ব কলকাতা হাইকোর্টের কোন বিচারপতির এজলাসে পাঠানো হবে। যদিও মামলা সরানোর নির্দেশ আসার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, হয়তো ধীরে ধীরে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলাই তার এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের ওপর নিজের গভীর আস্থার কথাও ব্যক্ত করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।