বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ (West Bengal) বাদ দিয়ে এখন ত্রিপুরাই (Tripura) হয়ে উঠেছে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। একুশে বাংলায় অভূতপূর্ব জয়ের পর তৃণমূল এখন ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে নিয়েছে। আর সেই কারণেই তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা এখন ত্রিপুরায় রোজই যাতায়াত করছেন। শনিবার ত্রিপুরার খোয়াইয়ে তৃণমূলের যুবনেতাদের উপর হামলা এবং তাঁদের থানায় জোর করে আটকে রাখার প্রতিবাদে সেখানে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাকি তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মাসেই দু’বার ত্রিপুরার সফরে গেলেন। আর দু’বারই তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। আর বারবার অভিষেকের উপর নেমে আসা আক্রমণ নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটাই তিনি আজ বয়ানও করেন।
সোমবার ঝাড়গ্রাম যাওয়ার আগে এসএসকেএম-এ ভর্তি আহত তৃণমূলের যুবনেতাদের দেখতে যান তিনি। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেককে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বুলেটপ্রুফ গাড়িটা না থাকলে অভিষেকের মাথা ফেটে যেত। ত্রিপুরায় ওঁর কোনও নিরাপত্তা নেই। প্রাণসংশয় রয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে সরাসরি অমিত শাহকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, অমিত শাহের নির্দেশ মতই এই হামলা হয়েছে। ওনার নির্দেশ না থাকলে বিপ্লব দেবের এত সাহস হত না। তিনি আরও বলেন, আমি জানি অভিষেক যেই বিমানে উঠবে। সেখানে তাঁর আশেপাশের পাঁচটা আসন রিজার্ভ করে গুন্ডা তুলে দেবে ওঁরা। অভিষেককে খুনের পরিকল্পনা রয়েছে।