পড়ুয়ারা পাচ্ছে না ভাতা, বেতন পাচ্ছে না শিক্ষকরাও! রাজ্যে বন্ধ হওয়ার মুখে ৩৪টি শিশু শ্রমিক স্কুল

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিশুশ্রম বন্ধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে চালু করা হয়েছিল শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়। বাকি বিদ্যালয়ের সঙ্গে সামান্য কিছু ভিন্ন ছিল এই শিশু বিদ্যালয়গুলি। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩৪টি বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই সঙ্গিন। পড়ুয়াদেরকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে না, স্কুলের শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। যার জেরে ৩৪টি এই জাতীয় স্কুল প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে।

এই বিষয় নিয়ে এবার আরম্ভ হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। করোনার সময় থেকেই স্কুলগুলির অবস্থা খুবই সঙ্গিন। শিশু শ্রমিকের সংখ্যা আবার ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু কেন এই অবস্থা স্কুলগুলির? ঠিক কারণ খুঁজতে বসলে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে উঠে আসছে যা স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফ থেকেও মেনে নেওয়া হচ্ছে।

ঝাড়বনি এনপিএলপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার দত্ত এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “শিশুশ্রমের আওতায় আসা শিশুদের মাসে ৭০০-৮০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হতো যা করোনার সময় থেকেই বন্ধ। শিক্ষকদের বেতন ৭০০০ টাকা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের মাইনে এবং শিশুদের ভাতা কোনটাই স্কুলে আসছে না তাই তাদের অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন না।”

এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেছেন যে তৃণমূল গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটা ধ্বংস করে দিতে পারলে সুবিধা পায়, তাই এমনটাই করার চেষ্টা হচ্ছে। অপরদিকে তৃণমূল-বিজেপি পাল্টা আক্রমণও শুরু হয়েছে। এলাকার তৃণমূল চেয়ারম্যান অজিত মাইতির দাবি নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শ্রমিকদের ওপর আঘাত হানা হচ্ছে, যার ভুক্তভোগী এই শিশু শ্রমিক স্কুলগুলোও। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি শমিত কুমার দাস।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর