বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি চলা চিন-তাইওয়ান (China Taiwan Conflict) দ্বন্দ্বের মধ্যে এবার আমেরিকা তাইওয়ানকে সমর্থন করার লক্ষ্যে ফিলিপিন্সকে (Philippines) নিজেদের দলে নিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে চিনের জন্য একটি উদ্বেগজনক খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চিনের হুমকি প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এরপর থেকে চিন তাইওয়ান সংলগ্ন এলাকায় তাদের তৎপরতা জোরদার করেছে। এমতাবস্থায়, আমেরিকা এখন তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এই যুদ্ধের আবহকে থামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থিত ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রদূত হোসে ম্যানুয়েল রোমুয়াল্ডেজ (Jose Manuel Romualdez) জানিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপিন্সের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ানের সাথে সংঘাতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে তাদের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, নিক্কেই এশিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, রোমুয়াল্ডেজ ব্যাখ্যা করেছেন, ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বর্ধিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি (Defense Cooperation Agreement) অনুযায়ী আমেরিকাকে ফিলিপিন্সের পাঁচটি স্থানে সামরিক উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, মার্কিন সামরিক বাহিনী ব্যবহার করতে পারে এমন ঘাঁটির সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও আলোচনা চলছে ম্যানিলা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে। রোমুয়াল্ডেজের মতে, ফিলিপিন্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতার্তে তাইওয়ান সংঘাতের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দেশের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার বিষয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার প্রসঙ্গে খুব কম সংকেত দেখা গিয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর আশঙ্কা করছে যে, আঞ্চলিক সামরিক সংঘর্ষে মার্কিন বাহিনীর জ্বালানি ও বারংবার আক্রমণের জন্য পর্যাপ্ত লজিস্টিক ক্ষমতা নেই। এমতাবস্থায়, ফিলিপিন্সের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করা সৈন্যদের পিএলএর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ফুটপ্রিন্টসের মাধ্যমে সাহায্য মিলবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বিরোধ নিয়ে চিন ফিলিপিন্সকেও হয়রানির মুখে ফেলেছে। এমতাবস্থায়, আমেরিকা ফিলিপিন্সের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন করেছে যার মাধ্যমে দক্ষিণ চিন সাগরে হামলা হলে সে দেশকে রক্ষা করবে আমেরিকা। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এদিকে, জানিয়ে রাখি যে ২০০৯ সাল থেকে, বেজিং দক্ষিণ চিন সাগরে তার দাবি জোরদার করার চেষ্টা করছে। যার ফলস্বরূপ চিন এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি ঘটেছে। পাশাপাশি, ২০২১ সালে, ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিনের কোস্ট গার্ডকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ এনেছিলেন।