বাংলাহান্ট ডেস্ক : শোধরাবার পাত্র নয় চিন। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং-এ অবৈধ ভাবে ঢোকার চেষ্টা করে চিনের লাল ফৌজ। বাধা দেয় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চলে হাতাহাতিও। পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় লাল ফৌজ। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হয়নি চিনের। এবার লাদাখ সীমান্তে তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে ড্রাগন বাহিনী। যা আবারও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের কাছে।
লাদাখে তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে চিনের বায়ু সেনা। সীমান্ত এলাকায় চলছে একাধিক নির্মান। ভারত সীমান্তে চিন নিজের শক্তিকে আরও বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট হয়েছে। ভারতও চিনের প্রত্যেকটি গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে। চিনের প্রস্তুতি অনুযায়ী তৈরি রাখছে নিজেকেও। চিনের সমস্ত আক্রমণের জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় সেনা। এমনই দাবি করা হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকেও।
লাদাখ সীমান্তে একাধিক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, আকাশেই শত্রুর মিসাইলকে ধ্বংস করার জন্য ডিফেন্স সিস্টেম অর্থাৎ এসএএম, আধুনিক র্যাডার সিস্টেম নিয়ে উত্তাপ বাড়াচ্ছে চিন। এরই সঙ্গে বিরাট সংখ্যক সেনা মোতায়েনও চলছে বলে জানিয়েছে ভারতের ইন্টেলিজেন্স। ভারতীয় সেনার কাছে এখন একটাই প্রশ্ন, চিন কি তাহলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে? তবে সমস্ত রকম অবস্থার জন্যই তৈরি রয়েছে ভারতীয় সেনা। চিন যদি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটে তাহলে তার যোগ্য জবাব দেবে ভারত।
শুধু লাদাখেই নয়, চিনের যুদ্ধ প্রস্তুতি চলছে তাওয়াং-এও। জানা যাচ্ছে সীমানার আশেপাশে বেশ কিছু গ্রাম নির্মান করেছে চিন। স্যাটেলাইট ইমেজে তা পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে ৯ ডিসেম্বর ৩০০ সৈনিককে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা নিয়েই ভারতীয় ভূখণ্ডে পাঠায় চিন। তবে তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। ভারতীয় জওয়ানরা তাদের মেরে ভাগিয়ে দিয়েছে। তবে অরুণাচল এবং লাদাখ সীমান্তে চিনের সমস্ত গতিবিধির উপর করা নজর রাখছে ভারত।