বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজনৈতিক লড়াইটা চলছিল প্রায় তিন দশক ধরেই। এবার তা রূপ নিলো যুদ্ধক্ষেত্রের। আমেরিকার (US) হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান (Taiwan) সফরকে ঘিরে এশিয়া মহাদেশে (Asia) ঘনিয়ে আসছে যুদ্ধের কালো মেঘ (China-Taiwan Conflict)। এই মুহূর্তে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলেছে চিন (People’s Liberation Army/PLA)। ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile), বায়ুসেনা, নৌবহর নিয়ে তাইওয়ানের জলসীমায় ঢুকে পড়েছে লালফৌজ। যে কোনও মুহূর্তে ড্রাগনবাহিনী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার তাইওয়ান সফর সেরে জাপান রওনা দেন ন্যান্সি। বৃহস্পতিবারই তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম জলসীমা এলাকায় চিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে দাবি তাইওয়ানের। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা বেজে ৫৬ মিনিটে দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ—পশ্চিম জলসীমায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি একাধিক দোংফেং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডকে ঘিরে সামরিক মহড়াও শুরু করে দিয়েছে চিন। মোট ছ’টি জায়গায় ড্রাগন বাহিনী সামরিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্বের জলপ্রণালী এবং আকাশসীমায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্টের অধীনে, নৌসেনা, বায়ুসেনা, রকেট বাহিনীর যৌথ মহড়া চলছে। পৌঁছে গিয়েছে প্রয়োজনীয় রসদও।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, এখনও যুদ্ধ শুরু না হলেও, চীন তার যুদ্ধের মহড়ায় ব্যবহার করছে আসল গুলি বারুদ ও মিসাইল। এই যুদ্ধের মহড়া ৭ আগস্ট সকাল পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে চিন। তাইওয়ানকে সতর্কও করেছে চীন। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হতে যাচ্ছে। তাইওয়ান সংকটে চীনকে সমর্থন জানায়নি জাপান। তাই গতকাল জাপানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সীমা অঞ্চলে পাঁচটি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোঁড়ে চীন। তাইওয়ানের পাশে ইতিমধ্যেই দাঁড়িয়ে গেছে আমেরিকা। অপর দিকে আমেরিকার চিরশত্রু রাশিয়া সমর্থন জানিয়েছে চীনকে। বেলারুশ, ইরান, উত্তর কোরিয়া সহ মোট সাতটি দেশ সমর্থন করেছে চীনকে। অপরদিকে তৈরি হচ্ছে তাইওয়ানও। তারা সমস্ত যুদ্ধ বিমানকে তৈরি থাকার আদেশ দিয়েছে। ভারত এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।