বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনের (China) জন্য তিব্বত (Tibet) এবং তাইওয়ান (Taiwan) এমন দুটি দুর্বল স্নায়ু যার নাম নেওয়া মাত্রই হট্টগোল শুরু করে দেয় বেজিং। এখন নির্বাসনে থাকা তিব্বত সরকারের (Tibetan Govt in Exile) কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য অনেক ভারতীয় সংসদ সদস্যের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। দিল্লির চীনা দূতাবাস এই বিষয়ে অনেক ভারতীয় সাংসদকে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছে যাতে তারা এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করে।
ভারতে চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর ঝো ইয়ংশেং ভারতীয় সাংসদদের একটি চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন যে, তাঁরা যেন চীনের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও অবৈধ সংগঠনের কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নেন বা তাঁদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না রাখেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার স্বীকার করে যে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ভূখণ্ডের অংশ এবং চীন তার দেশে ‘তিব্বতের স্বাধীনতা’ বাহিনী দ্বারা পরিচালিত যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের তীব্র বিরোধিতা করে।”
সাংসদদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে অবমাননাকর সুরে বলা হয়েছে, ‘আপনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং ভারত-চীন সম্পর্কের বিষয়ে ভালো জানেন। আমরা আশা করি আপনি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারবেন এবং তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা লোকদের সমর্থন করা থেকে বিরত থাকবেন।”
সাংসদ জয়রাম রমেশ, মনীশ তেওয়ারি, সুজিত কুমার, রাজীব চন্দ্রশেখর, রামদাস আঠাওয়ালে এবং মানেকা গান্ধী ধর্মশালায় নির্বাসিত তিব্বত সরকারের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংসদ মণীশ তেওয়ারি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনও চিঠি পাইনি। আমি পেলেও তাঁদের কথার জবাব দিয়ে নিজেকে হেয় করার কাজ করব না। এই চিঠিটি যদি চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই লিখতেন, আমি হয়তো উত্তর দেওয়ার কথা ভাবতাম।”
কূটনীতিকরা বিশ্বাস করেন যে ভারতীয় সাংসদদের কাছে চীনা দূতাবাসের লেখা এই ধরণের প্রতিবাদী চিঠি চীনের উলফ ওয়ারিয়র কূটনীতির একটি অংশ। বিভিন্ন দেশে মোতায়েন চীনা কূটনীতিকরা সময়ে সময়ে তিব্বত ও তাইওয়ান ইস্যুতে স্থানীয় নেতা ও কর্মকর্তাদের সতর্ক করতে থাকেন।