বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রার্থী তালিকা ঘোষনা হওয়ার আগেই প্রস্তুতি হিসাবে নিয়ে নিয়েছিলেন করোনা টিকা। প্রত্যাশা মতোই নাম ঘোষনা হওয়ার পরেই প্রচারে নেমে পড়েছেন বারাসাতের তৃণমূল (tmc) প্রার্থী তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (chiranjit chakraborty)। আর প্রচারে নেমেই একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন তিনি।
একুশের নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক উঠেছে টলি তারকাদের মধ্যে। এই বিষয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, বর্তমানে বাংলার অভিনয় ইন্ডাস্ট্রির হাল খুবই খারাপ। ছবি হচ্ছে না। প্রযোজনা সংস্থাগুলি বন্ধ হয়ে রয়েছে। উপরন্তু করোনার জেরে ফাংশানও বন্ধ। তাই বিকল্প পেশার কথ ভেবেই রাজনীতিতে আসছেন তারকারা। যারা ভাবছেন বাংলায় কিছু হবে না তারাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
তবে নিজের সপক্ষে সাফাই দিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, তাঁর মতো তারকারা লাভের আশায় রাজনীতিতে আসে না। কিন্তু যারা বলছেন মানুষের জন্য কাজ করবেন তারা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না পেয়েই রাজনীতিতে আসছেন, এমনি বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এর আগেও সংবাদ মাধ্যমকে চিরঞ্জিৎ বলেছিলেন, এখন বাংলা ছবির চল তেমন নেই। সেই কারণেই টাকা ও গ্ল্যামার পেতে তারকারা রাজনীতিতে আসছেন।
সম্প্রতি তৃণমূলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষনা হওয়ার পরের দিনই বারাসাত পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন চিরঞ্জিৎ। তৃণমূলের নির্বাচনী ট্যাগ লাইন ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ ব্যানারও লাগানো ছিল। কিন্তু নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর সরকারি দফতরে কোনো রাজনৈতিক দলের সাংবাদিক সম্মেলন কিকরে সম্ভব? প্রশ্ন তোলে বাম ও বিজেপি।
জেলা নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই শোকজ করেছে বারাসাত পুরসভার পুর প্রশাসককে। তবে তাঁর বক্তব্য, জেলা নির্বাচন কমিশন শুধু সেদিনের কর্মসূচীর কথা জানতে চেয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলন পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না বলেও জানান তিনি।