বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভয়ংকর অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)। উন্মত্ত জনতা ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে একের পর এক গির্জায়। সংখ্যালঘু খ্রিস্টান এলাকার বাড়িগুলিতে অবাধে চলছে লুটপাট! বুধবার বিকেল থেকে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী পাকিস্তানের পঞ্জাব (Punjab) প্রদেশের শিল্পশহর ফয়সলাবাদ-সহ বেশ কিছু এলাকা।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দুদের উপর হামলা, মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সে দেশে প্রায়ই ঘটে। এ বার একই অভিযোগে পাক কট্টরপন্থী মুসলিম গোষ্ঠীগুলি খিস্টানদের নিশানা করেছে বলে অভিযোগ। আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, পঞ্জাবের জারনওয়ালায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পুলিস দুই খ্রিস্টান যুবককে গ্রেফতার করার পরেই বুধবার উত্তেজনা ছড়ায়। আক্রান্ত হয় চার্চ এবং খ্রিস্টান মহল্লাগুলি।
স্থানীয় খ্রিষ্টান নেতা আকমল ভাট্টি জানান, অন্তত পাঁচটি গির্জায় আগুন দেওয়া হয়েছে এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে। মসজিদের মাইকের মাধ্যম হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় খ্রিস্টনরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। তাদের ঘরেও লুটপাট করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, গির্জা থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে। গির্জার আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে স্থানীয় এক সরকারি অফিসেও। নিকটবর্তী এক হাইওয়ে অবরোধ করেছে স্থানীয়রা মানুষজন।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, স্যালভেশন আর্মি চার্চ, ইউনাইটেড প্রেসবাইটেরিয়ান চার্চ, অ্যালাইড ফাউন্ডেশন চার্চ এবং শেহরুনওয়ালা চার্চে ভাঙচুর চালানো হয়। অন্যদিকে পুলিস কোরআন অবমাননার অভিযোগে ২৯৫বি ধারা ও ২৯৫সি ধারায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন : শত্রুসেনাকে নরকের আগুনে পোড়াতে ভারতের হাতে এল ‘হেল ফায়ার কপ্টার’! মাথায় হাত চিন-পাকিস্তানের
রাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকার সংবাদমাধ্যমে জানায়, তারা এই ঘটনার জন্য তদন্ত ও গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার্চ অব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বিশপ আজাদ মার্শাল বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা বাইবেল অবমাননা করেছে, খ্রিস্টানদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে যে আমরা পবিত্র কোরআন অবমাননা করেছি।’