কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ! এবার সোদপুরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হানা তদন্তকারীদের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলা। এ সংক্রান্ত মামলায় প্রতিদিনই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসে চলেছে। গতকালই সোদপুরের (Sodepur) বাসিন্দা, পেশায় চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট সুব্রত মালাকারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি অফিসাররা আর তার একদিন কাটতে না কাটতেই এবার সিআইডির (CID) জালে এক তৃণমূল কর্মী। কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে

ঘটনাটি সোদপুরের পানিহাটি পুরসভা অন্তর্গত শরৎপল্লী এলাকার। শরৎপল্লীর বাসিন্দা বাবাই দাস ওরফে হুলো এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এমনকি, ওই ব্যক্তি লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত বলেও জানা গিয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ সামনে এসেছে, যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বাংলায়।

সম্প্রতি, এসএসসি থেকে অন্যান্য একাধিক দুর্নীতি মামলায় ক্রমশ নাম জড়িয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা জেল হেফাজতে। এবার রাজ্য প্রশাসনের (সিআইডি) জালে এক তৃণমূল কর্মী।

সিআইডি সূত্রে খবর, লালবাজারে কাজ করার সময় বহু পরিমান টাকা তছরুপ করে বাবাই দাস। সেই কারণেই এদিন অবশেষে অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিআইডির তিন সদস্যের একটি দল। পরবর্তীতে ওই যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ সামনে আসছে।

গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বাবাইয়ের মা জানান, “এদিন তিনজন অফিসার আমাদের বাড়িতে এসেছিল। সেই সময় বাবাই বাড়িতে না থাকায় ওরা ফিরে যায়। ওরা নাকি বাবাকে ডেকেছিল, কিন্তু তাও দেখা করতে যায়নি; সেটাই জানাতে এসেছিল।”

বর্তমানে রাজ্যে যেভাবে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল নেতা কর্মীরা জড়িয়ে পড়েছেন, তাতে ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। এদিন এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, “সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করে চলেছে। এবার সিআইডির তরফ থেকে তৎপরতা দেখে যথেষ্ট ভালো লাগছে। রাজ্য প্রশাসনের উচিত, ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করা। বর্তমানে তৃণমূলের সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আগামী সময় আরো বড় বড় মাথা দুর্নীতি কাণ্ডে ধরা পড়বে।”

X