বাংলা হান্ট ডেস্ক : জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) ঘনিষ্ঠ দাউদ মালিকের পর এবার মৌলানা রহিমুল্লাহ তারিক (Maulana Rahim Ullah Tariq)। ফের পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে কুখ্যাত জঙ্গি নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী খুন। অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের দৌরাত্ম্যে টিকছেনা ভারতের কোনও শত্রু। তারিক জামিলের ছেলের পর আরেক ভারতবিরোধী তারিকের উপর হল গুলি বর্ষন। উল্লেখ্য, গত ১৯ মাসে এই নিয়ে ১৭ জন ভারত বিরোধী সন্ত্রাসীর প্রাণ গেল পাক মাটিতে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ভারতবিরোধী সমাবেশে অংশ নিতে যাওয়ার সময় তাকে হত্যা করা হয়। জানা যাচ্ছে, করাচিতে কিছু অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। মৌলানা রহিমুল্লাহ জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে খবর। যদিও পাক মাটিতে তিনি মৌলানা হিসেবে বিশেষ পরিচিত ছিলেন। যথেষ্ট খ্যাতি এবং প্রতিপত্তি ছিল তার। বিশেষ করে তার ভারত বিরোধী বক্তৃতা বেশ তারিয়ে উপভোগ করতে পড়শী দেশটি।
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, করাচির ওরাঙ্গি টাউনে একটি ভারত বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছিল এবং মৌলানা রহিমুল্লাহ সেই সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেই পথেই তাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী। ঘটনাস্থলেই প্রাণ বিয়োগ হয় তার। পাক পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনাটি টার্গেট কিলিং। যদিও এই গোটা ঘটনায় পাক মিডিয়া নীরব।
আরও পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিক রেজিস্ট্রেশনের জন্য জারি নতুন বিজ্ঞপ্তি! পড়ুয়াদের দিতে হবে অতিরিক্ত টাকা
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে একইভাবে খুন হয় ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড তথা লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম প্রধান নেতা হাফিজ সৈইদ ঘনিষ্ঠ মুফতি কায়সার ফারুক। তাকেও করাচির মাটিতেই আক্রমণ করা হয়। আচমকাই ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে চম্পট দেয় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের দল। তবে ফারুক হত্যাকান্ডের ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাফিস সহযোগী রাস্তায় কিছু পড়ুয়াদের সাথে হাঁটছিলেন। আর সেই সময়ই আততায়ীরা বাইকে করে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তার উপর।
আরও পড়ুন : নেই গাড়ি-বাড়ি, ব্যাঙ্কে রয়েছে মাত্র ৫৭৪ টাকা! নরেন্দ্র মোদীর সম্পত্তির খতিয়ান দেখলে চোখ কপালে উঠব
এছাড়াও কিছুদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজাউরে লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী আকরাম খান ওরফে আকরাম গাজি নিহত হয়েছেন। আকরামের হত্যাকাণ্ড আইএসআই-এর পাশাপাশি লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছরের মার্চ মাসে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে অজ্ঞাত হামলাকারীদের গুলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন। এর আগে পাক মাটিতে খুন হয় মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিম। চলতি বছরেই নিহত হয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড শহিদ লতিফ। এই সমস্ত হত্যার পেছনে কি রয়েছে নয়াদিল্লির গুপ্তচরদের হাত? তুঙ্গে উঠেছে তরজা।