বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। তার আগে পায়ের তলার জমি শক্ত করতে মরিয়া শাসকদল। ভোটের আগে জনসংযোগে আরও জোর দিতে সংযোগ যাত্রার সূচনা করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerje)। রাজ্যবাসীর সঙ্গে ‘সংযোগ’ গড়ে তুলতে আগামী দু’মাস ধরে জেলায় জেলায় ঘুরবেন যুবরাজ। পৌঁছে যাবেন সাধারণ মানুষের দুয়ারে, প্রত্যন্ত গ্রামে।
বুধবার নবান্নে সরাসরি এই জনসংযোগ কর্মসূচীর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কর্মসূচীর সূচনা করতে আগামী ২৪ এপ্রিল, সোমবার কোচবিহারে পৌঁছে যাবেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডো। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে সাধারণ মানুষদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনবেন অভিষেক। রাজ্য সরকারের পরিষেবা পেতে কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা সেসবও খতিয়ে দেখা হবে। এবং প্রয়োজনে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।
গতকাল বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানুষের সঙ্গে সংযোগ করবে। ছোট ছোট সভার মধ্য দিয়ে এটি হবে। মানুষের কাছে তাঁরা যাবেন। কেউ যদি কোনও সমস্যার কথা জানান, তা শুনবেন। মানুষের তৃণমূলকে কিছু বলার থাকলে তা বলবেন।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দুয়ারে সরকার, দিদির দূত যেমন চলছে, তেমনই দলের তরফে এই উদ্যোগটি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হতে পারে, হয়ত কেউ জানেন না, তাই সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না। ছোট-খাটো ব্যাপারে তো সাহায্য আমরা করতেই পারি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেগুলি আমার নজরে আনা হলে, আমি সেগুলি করে দেব।”
অভিষেকের এই নয়া কর্মসূচী নিয়ে মমতা উচ্ছাসিত হলেও কিছুটা উদ্বেগও ধরা পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে সূর্যের প্রচন্ড দাবদাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে সকলে। এমন অবস্থায় এতদিন ধরে অভিষেক কীভাবে এই কর্মসূচি চালাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় মমতা। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি জানি দুর্যোগ, দুর্ভোগ আছে। আমি ওকে বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, এত কষ্ট কীভাবে করবি? শরীর খারাপ হবে, রোদ-জলের মধ্যে। কর্মীদেরও কষ্ট হবে। কিন্তু ওরা সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে ছোট ছোট মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সংযোগ করবে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, কর্মসূচীর সূচনা করতে আগামী ২৪ এপ্রিল, সোমবার কোচবিহারে পৌঁছে যাবেন অভিষেক। দুদিনের জন্য সেখানে থাকলেও কোনও সরকারি ভবনে থাকছেন না তিনি। আড়ম্বরের পরিবর্তে ঝলসানো গরমে দলের কর্মীদের সঙ্গে মাঠে তাঁবু খাটিয়েই রাত কাটাবেন তিনি। জানিয়ে রাখি, আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ এবং তুফানগঞ্জের চিলাখানা এলাকায় থাকবেন অভিষেক। এছাড়াও মাথাভাঙা, শীতলকুচি-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।