বাংলার মেয়েরা কেন সুরক্ষিত? কন্যাশ্রীর মঞ্চ থেকে সবটা বললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ বছরের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প (Kanyashree)। আজ সোমবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে ছিল কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই বাংলার মেয়েরা কেন, কিভাবে সুরক্ষিত সেই ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, “কন্যাশ্রীর মাধ্যমে বাংলার মেয়েদের জীবন আজ সুরক্ষিত।”

শুধুই যে একথা বলেছেন তেমনটা নয়! পাশাপাশি কেন একথা বলছেন, অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক ছাত্রী আছে যারা পড়াশোনায় ভাল। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা নেই। তারা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পান না। সেটা দেখেই আমরা স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড চালু করেছি, যাতে পড়াশোনার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাওড়া, মালদহের নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ইস্যু করে বাংলায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধরা। রাজ্য ঘুরে গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। এমনকি বাংলার তুলনা টানা হয়েছে মণিপুরের ঘটনার সঙ্গেও। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এদিন কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন: রাখি পূর্ণিমার আগেই ‘‌দিদি’‌র রাখির ব্যাপক চাহিদা! খুশিতে আত্মহারা শিল্পীরা

ওদিকে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, “২০১৩ সালে যখন কন্যাশ্রী চালু হয়েছিল, তখন আমারও সন্দেহ ছিল, তবে আজ এটা বাংলার বড় প্রকল্পের রূপ পেয়েছে। লক্ষ লক্ষ মেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। এটা শুধু কোনও অনুদানের প্রকল্প নয়, মেয়েদের উৎসাহিত করা, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগও।”

kanyashree

আরও পড়ুন: ১৫ই অগাস্টের আগে ‘বিরাট’ দাবি বেহালায়! এবার আরও বিপাকে পার্থ…

এদিন নিজের লেখা কবিতাবিতান বই থেকে এদিন ‘আমার ঠিকানা’ এবং ‘মাটির ঘর’ এই দুটি কবিতা পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রীর লোগো গান সবটাই যে তার নিজের বানানো সেকথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কন্যাশ্রী আজ একটা ব্র্যান্ড। এটা একদিন সারা বিশ্বে ইন্টারন্যাশনাল গালর্স চাইল্ড ডে হিসেবে পালিত হবে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর