বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তায় পড়ে যান সকলে। কালীঘাটের বাড়িতে পড়ে গিয়ে গতকাল চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। কপাল ফেটে রক্ত গড়াতে থাকে। এদিকে ভাগ্নির দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বেজায় চিন্তিত হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায় (Anil Mukherjee)। এবার ভাগ্নিকে একটি পরামর্শ দিলেন তিনি।
বীরভূমের রামপুরহাটের কুশুম্বা গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি। একটা সময় মাঝেমধ্যেই সেখানে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও গিয়েছেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এই বাড়িতে চিন্তার পরিবেশ! এখন কেমন আছেন মমতা? এই খবর জানতে সকাল থেকেই টিভির সামনে বসে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর মামা, ৮৫ বছর বয়সী অনিল মুখোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মামাতো ভ্রাতৃবধূ পম্পা মুখোপাধ্যায় (Pampa Mukherjee) দিদির আরোগ্য কামনা করে ইতিমধ্যেই পুজো দিয়েছেন। বাড়ির কুলদেবতা রক্ষাকালী মা এবং তারাপীঠে মা তারার (Maa Tara) মন্দিরে পুজো দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে প্রবীণ অনিলবাবু ভাগ্নিকে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুনঃ পিছন থেকে ধাক্কা! নেপথ্যে কে? কপালে তিনটি, নাকে একটি সেলাইয়ের পর এখন কেমন আছেন মমতা?
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়িতেই পড়ে গিয়ে কপালে এবং নাকে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। জানা যাচ্ছে, সেখানে সাময়িকভাবে অচৈতন্য ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর জ্ঞান ফেরে মমতার। এরপর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে নিয়ে আসা হয়। তখনও সঙ্গে ছিলেন অভিষেক। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কপালে এবং নাকে গভীর ক্ষত হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাইও পড়েছে।
জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসক পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন ডাক্তাররা। তবে তিনি নিজেই থাকতে চাননি। এরপর সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। আপাতত নিজ বাড়িতেই চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।