হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার মমতার! কারণ জানলে অবাক হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সপ্তাহেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ খারিজ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে আপাতত বিরাট স্বস্তিতে রাজ্যের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। এই সুপ্রিম রায় নিয়েই যেখানে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার সেই শিক্ষকদের নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বুধবার মমতা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞ। ৩২ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট ৩২ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্র সবাইকে নিয়ে।” প্রসঙ্গত, বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গত ১২ মে প্রথমে একজোটে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি।

পরে অবশ্য সেই সংখ্যা পরিবর্তন করে হয় ৩২ হাজার। পর্ষদকে বিচারপতির নির্দেশ ছিল, আগামী চার মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বিচারপতি এও বলেছিলেন, চাকরিচ্যুতরা আগামী ৪ মাস স্কুলে যেতে পারলেও তাদের পার্শ্বশিক্ষকের বেতন দেওয়া হবে। তবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিচ্যুতরা অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকরিহারাদের একাংশ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে কাজ করতে হবে না। তারা যেমন ছিলেন তাই থাকবেন। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন নিয়োগ পক্রিয়া নিয়ে দেওয়া নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

high court, supreme court

ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে এই ৩২ হাজার শিক্ষককেও। তারা সেখানে উত্তীর্ণ না হলে চাকরি খোয়াবেন। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাত চাকরিহারা দের একাংশ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। ৭ই জুলাই সেই মামলায় হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। সেখানে মামলাকারীদের বক্তব্য শুনতে হবে। তারপরই ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর