বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। বুধবার দুপুরে যেমন চালসার একটি চা বাগানে গিয়ে সেখানকার চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা জানান, এই এলাকায় প্রায় ১০ লক্ষ চা শ্রমিক রয়েছেন। তবে পোকামাকড় সংক্রান্ত সমস্যার দরুন তাঁরা বেকার হয়ে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী আজ সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের সমস্যা শোনেন। সেইস ঙ্গেই তাঁদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির গবেষণা করার আশ্বাসও দেন তিনি।
আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমনিতে এক একটি বড় চা বাগানের (Tea Garden) আয়তন প্রায় ২৫০-৫০০ একর মতো হয়। তবে এখানে মাত্র ৫ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়। চা শ্রমিকের (Tea Garden Workers) সংখ্যাটা প্রায় ১০ লক্ষ মতো। মমতা জানান, এখানে চা শ্রমিকরা নিজেরাই ছোট ছোট জায়গায় চাষ করেন। এরপর চা পাতা প্রস্তুতকারক কারখানার তরফ থেকে সেগুলি কিনে নেওয়া হয়।
এতদিন অবধি এভাবেই চা শ্রমিকরা নিজেদের সংসার চালাতেন। তবে গোলযোগ বাঁধে ২০১৫ সাল নাগাদ। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, ‘২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের টি বোর্ডের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, এখানে বেশ কিছু পোকামাকড় আছে, যে কারণে এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত’।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রত চুনোপুটি! কীভাবে ১৩৩ কোটির মালিক হলেন শাহজাহান? সিনেমাকে টেক্কা দেবে সেই কাহিনী!
এখানেই না থেমে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘পরবর্তীকালে আমরা খোঁজখবর নেওয়ার পর জানতে পারি এখানে কী পোকা আছে সেই বিষয়ে খোলসা করে জানানো হয়নি। পাশাপাশি এনাদের কোনও সময়ও দেওয়া হয়নি’। এখানেই আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, ঘরে সাপ ঢুকতেই পারে। কিন্তু কোন প্রজাতির সাপ সেটা তো জানা দরকার।
মমতা বলেন, ‘আসল ঘটনাটা এঁদের জানতে দেওয়া হয়নি। যে কারণে ১০ লক্ষ চা শ্রমিক বেকার হয়ে গিয়েছেন’। এদিন চালসার চা বাগানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই তাঁদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কী কারণে এই সমস্যা হচ্ছে সেটা ভোট মিটলে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে গবেষণা করে দেখার আশ্বাসও দেন তিনি।