বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বুধবার ছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। আর সেখানেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর আগে জলা জমি বন্ধকরণে কড়া পদক্ষেপ করেছিল নবান্ন। আর এবার সরকারি পুকুরগুলি (Government Ponds) নিয়েও বড় পদক্ষেপ।
জানা যাচ্ছে, এবার থেকে সরকারি পুকুরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে খোদ রাজ্য সরকার (State Government)। গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান এবার থেকে সরকারি পুকুরগুলির দেখভাল করবে রাজ্যই। এর ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বেশ কিছুটা বাড়বে।
অর্থাৎ এখন থেকে পুকুরের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা দেখিয়ে ব্যবসার সুযোগ বন্ধ। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানেই থাকবে পুকুরগুলি। রাজ্যের কোষাগাড়ে আয় বাড়াতেই এই নয়া পদক্ষেপের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আয় বাড়াতে সরকারি পুকুরগুলিকে যথাযথ ব্যবহারের কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: শীতের জোরসে কামড়! দক্ষিণবঙ্গের এই ৪ জেলায় ১৭ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা, আবহাওয়ার বড় খবর
নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এর জন্য রাজ্যের তিন মন্ত্রীকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং মন্ত্রীর মানস ভুঁইয়াকে নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিন সদস্যের এই কমিটির হাতে সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে। তারাই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! লাইভে এসে একের পর এক বঙ্গ BJP নেতাদের নাম ধরে ধরে বিস্ফোরক অনুপম হাজরা
কমিটির কাজ: মন্ত্রী যোগে তৈরী এই কমিটি প্রথমে রাজ্যের কোথায়, কত সরকারি পুকুর রয়েছে সেই তালিকা তৈরি করবে। এরপর সেই পুকুরগুলিকে সংস্কার করে সেখানে মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রয়োজনে মাছ চাষের কাজে নিযুক্ত করা হবে।
এইভাবে ধাপে ধাপে হবে কাজ। পাশাপাশি সরকারি পুকুরের পাড়ে জায়গা থাকলে ফলের গাছ লাগিয়ে ফল চাষও হতে পারে। এতে আয়ের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কর্ম সংস্থান হবে বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।