বাংলাহান্ট ডেস্ক : নূপুর শর্মার হজরত মহম্মদ বিরোধী কটাক্ষের জেরে উত্তপ্ত বাংলা। চলছে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ। রাস্তায় পুড়ছে গাড়ি। আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ থানা। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারাও। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমস্ত রকম জমায়েতের উপর। কিন্তু এত কিছুর জন্য বিজেপিকে দায়ি করে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দেপাধ্যায়। বিজেপির এই অরাধের জন্য তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিলেন।
বৃহস্পতিবারই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে করে কড়া বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর শত অনুরোধেও থামেনি হাওড়ার বিক্ষোভ। শুক্রবার সারা দিন উত্তপ্ত ছিল হাওড়ার বিরাট অঞ্চল। নবান্ন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গোটা হাওড়া জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। উলুবেড়িয়া মহকুমায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর শনিবার সকালে আরও একবার হাওড়ার নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নিজের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ‘আগেও বলেছি, দু’দিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’
গতকাল রাতে অবরোধে আটকে পড়ে ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, চিকিৎসা করিয়ে হায়দরাবাদ থেকে ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি। দেউলটি স্টেশনে মৃত্যু হয় কেএন শ্রীণু নামের ওই যাত্রীর। ইতিমধ্যেই পাঁচলায় ঘটে গিয়েছে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধও। টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি কোনওমতে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ বাহিনী। যদিও আজ দুপুর পর্যন্ত কোথাও ট্রেন অবরোধের খবর পাওয়া যায়নি।
পয়গম্বরের অবমাননা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল বম্বে রোড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর অনুরোধকে কার্যত বুড়োআঙুল দেখিয়েই রাত পর্যন্ত চলে অবরোধ। শুক্রবার আবার হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝামেলা তৈরি হয়। রাতে হাওড়ায় একাধিক জায়গায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলেই দাবি করছে রাজ্য প্রশাসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির কোনও উত্তর এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে আসেনি বলেই জানা যাচ্ছে।