বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বহু নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী এবং এক সাংসদও যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। বিধানসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীও করে গেরুয়া শিবির। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সেই ভুল আর করতে চাইছে না পদ্ম ব্রিগেড। এছাড়াও টলিউডের বহু আর্টিস্টকেও বিধানসভা নির্বাচনে দেওয়া হয়েছিল টিকিট।
তাদের মধ্যে হিরন চট্টোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ জয়লাভ করতে পারেননি। বিজেপির এই ‘গ্র্যান্ড জয়েনিং’ পর্বের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুকুল রায়। রাজ্যের জন্য নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গী ছিলেন মুকুলের সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেওয়ার জন্য। তবে বর্তমানে মুকুল রায় বিজেপিতে নেই। কৈলাস বিজয়বর্গীও মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী এখন।
আরোও পড়ুন : মাটির নীচে ছিল লুকনো, খোঁজ মিলল ৩০০০ বছরের প্রাচীন সভত্যার! শোরগোল খোদ মোদীর গ্রামে
মুকুল-কৈলাসের জায়গায় তাই বিজেপি শিবির অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ‘নিযুক্ত’ করতে পারে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি আলাদা আলাদা দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে বিজেপির সব সর্বভারতীয় সম্পাদকদের। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলকে বাংলার সাথে সাথে দেখতে হবে উড়িষ্যা ও তেলেঙ্গানার সংগঠনকেও। এছাড়াও বিজেপির মোর্চার সর্বভারতীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন সুনীল।
আরোও পড়ুন: আর মাত্র কিছুক্ষণ! বড়সড় বদল আসবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায়, বৃষ্টি নিয়ে অ্যালার্ট জারি বহু জেলায়
বিজেপি চাইছে যুব মোর্চার মাধ্যমে তরুণ ও নতুন ভোটারদের বিজেপি মুখী করতে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নব মতদাতা সম্মেলন’ করবেন আগামী ২৫ শে জানুয়ারি। এই পরিস্থিতিতে অন্য দল থেকে নেতা বা মন্ত্রী নেওয়ার দায়িত্ব পুরোপুরি সুনীলের উপর না দিয়ে, বিজেপি চাইছে সেই দায়িত্ব হিমন্তকে দিতে। ঘটনাচক্রের গত রবিবার কলকাতায় কয়েক ঘন্টার জন্য আসেন হিমন্ত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। বিজেপির সূত্র মারফত খবর, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রবিবার বৈঠক করেছেন রাজ্যের বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের সাথে। তবে এই বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পদ্ম ব্রিগেড।