বাংলা হান্ট ডেস্ক : এদিকে একই দিন অর্থাৎ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ধারণা করা হচ্ছে ওইদিন কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী বাকযুদ্ধে জড়াবেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিবেন তিনি।সোমবার নিজ দলের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এতথ্য জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথমবার মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির উদ্দেশে ভাষণে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, কেন তিনশো সত্তর ধারা বাতিল করা হয়েছে। এতে উপত্যকাবাসীর কী কী লাভ, তার খতিয়ান তুলে ধরে জম্মু-কাশ্মীরের মন জয়েরও চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদি। নিশানা করলেন পাকিস্তানকেও।
৩৭০ ধারা বাতিল এবং ভূস্বর্গ ভাগ করে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের এই পদক্ষেপে বিশ্বের নজর কেড়েছে। এই পরিস্থিতি বৃহস্পতিবার আসরে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। নিশানা করলেন পাকিস্তানকেও। মোদির বক্তব্য, শ্যামাপ্রসাদ এবং কোটি মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা সফল হল৷ জম্মু-কাশ্মীরে নতুন যুগের শুরু৷ কেউ বলতে পারতেন না ৩৭০-এর জন্য কী লাভ হয়েছে। ৩৭০ ও ৩৫-এ সন্ত্রাসবাদ, পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতির জন্ম দিয়েছে। ৩৭০কে ব্যবহার করছিল পাকিস্তান। ৪২ হাজার নির্দোষের মৃত্যু হয়েছে। উন্নয়ন হয়নি৷জাতির উদ্দেশে ভাষণে জম্মু-কাশ্মীরবাসীর আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেন নরেন্দ্র মোদি। বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত? প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, দেশের বাকি অংশের মানুষ যে সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান এবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারাও তাই পাবেন। যে আইনে দেশের অন্য রাজ্যের মানুষ সুফল ভোগ করতেন, তা থেকে বঞ্চিত হত জম্মু-কাশ্মীর৷ শিশু ও নারীরা সুবিধা পেতেন না৷ সাফাইকর্মীরা পেতেন না৷