বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝামেলা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। এবার ধর্ষণের মামলায় নাম জড়ালো নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোলিং এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে নন্দীগ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। এর আগেও ভোট পরবর্তী হিংসা ও খুনের মামলায় জড়িয়েছিল শেখ সুফিয়ানের নাম। এছাড়াও একাধিক মামলায় অভিযুক্ত নন্দীগ্রামের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা। বিধানসভা নির্বাচনের পরে নন্দীগ্রাম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় বিরোধীদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠতরাজ, মারধর চলে। প্রতিটি ঘটনাতেই অভিযুক্ত ছিল তৃণমূল।অভিযোগ, গত ৩ মে নন্দীগ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় একদল দুষ্কৃতি। সেই দলে শেখ সুফিয়ানও ছিলেন বলেন জানা যাচ্ছে।
ভোট পরবর্তী খুনের মামলায় এতদিন হাজতবাসের পর গত বুধবার জামিন পেয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিলেও অবশেষে মুক্তি মেলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সুব্রত মাইতির খুনের মামলায় বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান সুফিয়ান। এর মধ্যেই আবার ধর্ষণের মামলায় জড়ালো তাঁর নাম। বৃহস্পতিবারই এই অভিযোগের তদন্ত করতে সিবিআইয়ের একটি দল নন্দীগ্রামে পৌঁছায়।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ার সময় তাঁর পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন সুফিয়ান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আসা এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূলের তরফে। যদিও সুফিয়ানের দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য ইচ্ছাকৃত চক্রান্ত করে এসব করছেন শুভেন্দু অধিকারী।