বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরীক্ষায় বহু ক্ষেত্রেই ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য আসে না। বহু সময় পড়ুয়ারা তাদের পাশ করতে না পারার জন্য একাধিক অজুহাত দেখায়। কিন্তু, তাই বলে ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের জন্য ফেল ? এটাও কী সম্ভব ? এবার মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা আনন্দ কিশোর চৌধুরীর কাছ থেকে এমনই এক হাস্যকর তথ্য উঠে এল।
ওই যুবকের কথায়, ইউটিউবে অশ্লীল বিজ্ঞাপন দেখার কারণে তার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়েছিল এবং সেই কারণে সে পরীক্ষায় ফেল করেছে। শুধু তাই নয়, আবেদনকারী তার আবেদনে ইউটিউবের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছিলেন। তবে আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট তাকেই উল্টে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি অভয় এস শুক্রবার শুনানির সময় আবেদনকারীকে তিরস্কার করে বলেন, “এটি 32 ধারার অধীনে দায়ের করা ‘সবচেয়ে খারাপ’ পিটিশনগুলির মধ্যে একটি।” বিচারপতি কৌল আবেদনকারীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনি কীসের জন্য ক্ষতিপূরণ চান? আপনি ইন্টারনেট দেখেন নাকি ইন্টারনেট দেখার কারণে আপনি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি, তাই ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন? বিজ্ঞাপনটিতে যৌন বিষয়বস্তু থাকায় আপনি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। বিজ্ঞাপনটি দেখা না না দেখা আপনার ব্যাপার।”
শুনানির সময় বিচারপতি কৌল আরোও জানান, “বিজ্ঞাপনে যৌন বিষয়বস্তু ছিল, এটি আপনার দৃষ্টি সরিয়ে দিয়েছে, তাই আপনি আদালতে কথা বলছেন, ক্ষতিপূরণ দিন।” আদালত বলে, “আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখতে না চান, তাহলে দেখবেন না। এ ধরনের আবেদন করা আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার মতোই বিষয়। আপনার আচরণের জন্য এখন আপনাকে জরিমানা দিতে হবে।”
আবেদনকারীকে ভর্ৎসনা করে আদালত তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে। তবে এক লাখ টাকা জরিমানার কথা শোনার পর আবেদনকারী তার বাবা মা’র আর্থিক অবস্থার কথা জানান। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কৌল বলেন , “আপনি প্রচার পাওয়ার উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করেছেন।” পাশাপাশি জরিমানা প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “জরিমানা কমাব, কিন্তু ক্ষমা করব না।” তারপরে, তিনি জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ২৫,০০০ টাকা করার আদেশ জারি করেন।