বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ কে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশ থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতি। ছবিটিকে হাতিয়ার করে লড়তে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে থেমে নেই বিরোধীরাও। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে সরগরম নেটপাড়া। এবার এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে একহাত নিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। একটি ট্যুইট করে তৎকালীন সময়ের বিজেপি সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা নিজের ট্যুইটটিতে লেখেন, ‘১৯৯০ সালে যখন কাশ্মীরি পন্ডিতরা সন্ত্রাস এবং বর্বরতার কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তখন সেই ৮৫ জন বিজেপি সাংসদ কী করছিলেন যাঁদের সমর্থনে তখন কেন্দ্রে ভিপি সিং সরকার চলছিল? কেন রাজ্যপাল নিরাপত্তা না দিয়ে পন্ডিতদের পালাতে উসকে দিয়েছিলেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী কি বাপুর আদর্শ থেকে শুরু করে কাশ্মীরি পন্ডিতদের যন্ত্রণা, সিনেমা সবই ছেড়ে দিতে চান? শেষ অবধি কবে নিজের দায়িত্ব উপলব্ধি করবে মোদী সরকার? কবে সত্যের মুখোমুখি হবে? সর্বোপরি আর কতদিন আমরা শুধু মিথ্যা, বিদ্বেষ আর বিভাজনের মধ্যে রাজনৈতিক সুযোগ খুঁজব?’
সুরজেওয়ালা আরও বলেন, ‘ ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত আপনাদের মূল সংগঠন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং বাপুর বিরুদ্ধাচারণ করেছিল। সে অসহযোগ আন্দোলনই হোক বা ভারত ছাড়ো আন্দোলনই হোক প্রতিবারই ব্রিটিশদের পাশে দাঁড়ান আপনারা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম দিন থেকেই ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতি গ্রহণ করেন।’
কংগ্রেস দাঁড়িয়েছিল কাশ্মীরি পন্ডিতদের পাশে। এই দাবিও করেন কংগ্রেস মুখপাত্র। তাঁর বিস্ফোরক দাবী, ‘কাশ্মীরি পন্ডিতরা যখন অত্যাচারিত হচ্ছিলেন তখন বিজেপি সমর্থিত সরকার পালিয়ে যাচ্ছিল। একমাত্র আওয়াজ তুলেছিলেন রাজীব গান্ধী। সংসদ ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপি এই ট্র্যাজেডিকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছিল। রাজনৈতিক লাভের জন্য রথযাত্রা বের করে ছিল তারা। তার প্রমাণ এখনও আছে। ‘
মোদী সরকারকেও এক হাত নিতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘বিগত ৮ বছরে মোদী সরকার কাশ্মীরি পন্ডিতদের পুনর্বাসনের জন্য কী করেছেন? কাশ্মীরে হিংসা আবারও বেড়েছে। হাজার হাজার কাশ্মীরি পালিয়ে যেত বাধ্য হয়েছেন। যখন সরকার কাশ্মীরি পন্ডিতদের জন্য কিছু করতে পারেনি তখন তারা ফিল্ম দেখাতে শুরু করেছে? বিদ্বেষের চাষ থেকে লাভের ফসল আর কতদিন?’কংগ্রেস নেতার এহেন বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। যদিও এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি বিজেপির তরফে।