বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ। এটাই জীবনে এগিয়ে চলার মন্ত্র। কোনও মানুষকে শৈশব থেকে বৃদ্ধ, ছেড়ে আসতে হয় অনেক কিছু্। ছাড়তে হয় স্কুল-কলেজ-পুরোনো কর্মক্ষেত্র। ঠিক তেমনভাবেই পুরোনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানিয়ে মঙ্গলবার নতুন ভবনে প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। গণেশ চতুর্থীর দিন প্রথমবারের জন্য সমস্ত সাংসদেরা প্রবেশ করবেন অত্যাধুনিক নতুন সংসদ কক্ষে (New Parliament House)। এই নতুন সংসদ ভবনের নাম রাখা হয়েছে ‘পার্লামেন্ট হাউস অফ ইন্ডিয়া’ (Parliament House of India)।
আর এই দিনেই নয়া সংসদ ভবন নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর গলায় (Adhir Chowdhury)। সেন্ট্রাল হলে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তকমা অর্জন নির্ভর করছে আমাদের দেশের নাগরিকদের উন্নয়নের উপর। আজ আমি খুব গর্বিত বোধ করছি। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। সেন্ট্রাল হল (Central Hall) ঐতিহাসিক হল। এখানে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এদিন সেন্ট্রাল হলে বলেন, ‘১৯৪৬ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত এই সেন্ট্রাল হলেই সংবিধান প্রণয়ন কমিটি বসেছিল। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। সেন্ট্রাল হল অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে। নতুন চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সাংসদদের উপর বড় দায়িত্ব রয়েছে।’
প্রতিবেদন লেখার সময় সেন্ট্রাল হলে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি এদিন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছরের বড় বড় কাজ করতেই হবে। ছোট কাজ করার সময় এখন আর নেই। একটা সময় আমাদের আত্মনির্ভর হওয়ার ধারণার সমালোচনা হয়েছে, এখন সবাই এর অনুকরণ করছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শতাব্দী প্রাচীন এই সংসদ ভবনের পথচলা শেষ হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার স্কোয়ার মিটার জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই নতুন সংসদ ভবন। নতুন সংসদ ভবনে লোকসভার আসন সংখ্যা ৮৮৮। রাজ্যসভার কক্ষে আসন ৩৮৪। স্পিকারের কাছে বসেছে সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গেল’। রাজ্যসভা কক্ষের নকশা তৈরি হয়েছে জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে। জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে তৈরি করা হয়েছে লোকসভা কক্ষ।