বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল কেরলে (Kerala) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এশিয়ানেট নিউজের (Asianet News) দফতরে অভিযান চালায় পুলিস। রবিবার সকালে কোঝিকোড়েতে অবস্থিত মালায়লি ওই সংবাদ সংস্থার দফতরে পৌঁছয় পুলিস। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি, কীসের জন্য তল্লাশি স্পষ্ট নয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে (Pinarai Vijayan) নিশানা করা শুরু করে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা ভীডী সতীশন বিজয়নকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘কেরালার মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করে দিচ্ছেন তিনি ধুতি পরা মোদি। কারণ মোদিও নিজের বিরুদ্ধে খবর সহ্য করতে না পেরে বিবিসির দফতরে আয়কর বিভাগকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন। আর আজ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নও এশিয়ানের নিউজের দফতরে পুলিস পাঠালেন। এটা অসহিষ্ণুতারই প্রতিক। সমালোচকদের ভয় দেখাতেই সরকারের এই পদক্ষেপ।’
কংগ্রেসের তরফ থেকে আরও বলা হয়, দু’মুখো নীতি নিচ্ছে কেরলের বাম সরকার। একদিকে তারা মাদক দ্রব্য বর্জন করতে প্রচার চালাচ্ছেন, অপরদিকে সিপিএম নেতারাই এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সংবাদমাধ্যম এর বিরুদ্ধে গেলে তার দফতরে পুলিস পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবে করা হয় কংগ্রেসের তরফ থেকে।
কী হয়েছিল ঘটনা? রবিবার সকালে কেরলের কোঝিকোড়েতে মালয়ালি সংবাদ সংস্থা এশিয়ানেটের দফতরে পৌঁছে যায় পুলিস। দীর্ঘ ক্ষণ চলে তল্লাশি অভিযান। কিসের জন্য তল্লাশি তা স্পষ্ট হয়নি। অবশ্য এশিয়ানেট সেই তল্লাশি অভিযানের ছবি দিয়ে টুইটারে লিখেছে, ‘আমাদের সত্য খবর পরিবেশন করার চেষ্টাকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
এর আগে, শিশুদের যৌনহেনস্থা সংক্রান্ত একটি খবরের জেরে গত শুক্রবারই এশিয়ানেটের দফতরে আচমকা হাজির হয়েছিলেন কেরলের শাসক দল সিপিএমের যুব শাখা এসএফআইয়ের সদস্যরা। এশিয়ানেট ভুয়ো খবর প্রকাশ করছে এই অভিযোগে একরকম গায়ের জোরেই এশিয়ানেটের অফিসে ঢুকে পড়েন তাঁরা। অফিসের ভিতরে দাঁড়িয়েই স্লোগান দিতে শুরু করেন। ঘটনাটির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়াও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। বিষয়টি কেরল সরকারকে খতিয়ে দেখতেও অনুরোধ করেছিল সর্বভারতীয় সংস্থাটি। এর পর রবিবার সকালে পুলিস এসে হাজির হয় ওই সংবাদমাধ্যমের দফতরে।