বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটক বিধানসভায় শুক্রবার তুমুল হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। কংগ্রেসের বিধান পরিষদ প্রকাশ রাঠৌড় বিধানসভায় নিজের মোবাইলে নীলছবি দেখার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। উনি যে বিধানসভায় বসে বসে নীলছবি দেখছেন, সেটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়। এর সাফাই হিসেবে কংগ্রেসের বিধান পরিষদ বলেন, তিনি ইন্টারনেটে কিছুই দেখছিলেন না, নিজের মোবাইল থেকে অবাঞ্ছিত ভিডিও ডিলিট করছিলেন।
তিনি বলেন, আমি সদনে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করি না। কিন্তু এবার আমার কিছু প্রশ্ন করার ছিল, আর সেই কারণে আমি মোবাইল নিয়ে যায় আর নিজের মোবাইল বসে বসে চেক করছিলাম আমি। তিনি বলেন, আমি দেখি আমার মোবাইলের স্টোরেজ ফুল হয়ে গিয়েছে, আর এই কারণে আমি ভিডিও ডিলিট করতে থাকি বসে বসে।
জানিয়ে রাখি, এটাই প্রথম না যে কর্ণাটকের বিধায়ক বিধানসভায় বসে বসে অশ্লীল ভিডিও দেখতে গিয়ে ধরা পড়লেন। এর আগে ২০১২ সালে আরও ৩ জন বিধায়ক নীলছবি দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। আর সেই তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন তৎকালীন রাজ্যে উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিবহণ মন্ত্রী। সেবারের ওই কাণ্ডের ফলে কর্ণাটক বিধানসভা রাতারাতি চর্চায় চলে এসেছিল। তৎকালীন বিরোধী দল কংগ্রেস আর জনতা দল সেকুলারের সদস্যরা এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন বিধায়ককে বহিস্কার করা আর তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি তুলেছিল।
কর্ণাটক বিজেপির মুখপাত্র সম্প্রতি কর্ণাটক বিধানসভায় ঘটে যাওয়া এই মামলা নিয়ে বলেন, বিদ্যান মানুষের সদন বলে পরিচিত আমাদের বিধানসভা কংগ্রেসের বিধায়কের কারণে বদনাম হচ্ছে। শেষবার কংগ্রেস নিজে সদনে তুমুল হাঙ্গামা করেছিল। আর এবার সেই কংগ্রেস দলের সদস্য বিধানসভায় নীলছবি দেখতে গিয়ে ধরা পড়ল। আমি আশা করছি কংগ্রেস অভিযুক্ত বিধান পরিষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ডিকে শিবকুমার কড়া পদক্ষেপ নিয়ে তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করবে।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার