বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরেই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে চলছে কংগ্রেসের (Indian National Congress) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। শনিবার সকালেই এই যাত্রায় যুক্ত হন পঞ্জাবের (Punjab) জলন্ধর অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা সন্তোখ সিং চৌধুরী (Santokh Singh Chaudhary)। কিন্তু হঠাৎ তাঁর বুকের বাঁ দিকে ব্যথা আরম্ভ হয় আর তারপরেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে শুয়েও পড়েন। ব্যস্ তারপরেই সব শেষ। বহু চেষ্টার পরেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয় নি। জানা গিয়েছে, বুকে ব্যাথা শুরু হতেই তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে লুধিয়ানার ফাগওয়ারার ভির্ক হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
রাহুল গান্ধীর এই ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদের (Members of Parliament) মৃত্যু (Died) যে খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা তার বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বহু বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান ভগ্নহৃদয়ে টুইটারে লেখেন, ‘জলন্ধরের কংগ্রেস সাংসদ সন্তোখ সিং চৌধুরীর অকাল প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। ঈশ্বরের কাছে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’ শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন মল্লিকার্জুন খড়্গেও।
ਕਾਂਗਰਸ ਦੇ ਜਲੰਧਰ ਤੋਂ ਮੈਂਬਰ ਪਾਰਲੀਮੈਂਟ ਸੰਤੋਖ ਸਿੰਘ ਚੌਧਰੀ ਜੀ ਦੀ ਬੇਵਕਤੀ ਮੌਤ ਦਾ ਬੇਹੱਦ ਦੁੱਖ ਹੋਇਆ..ਪ੍ਵਮਾਤਮਾ ਵਿੱਛੜੀ ਰੂਹ ਨੂੰ ਸਕੂਨ ਬਖ਼ਸ਼ੇ ..ਵਾਹਿਗੁਰੂ
— Bhagwant Mann (@BhagwantMann) January 14, 2023
কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রার আজ যাত্রাপথ ছিল পাঞ্জাবের ফিল্লৌর এলাকা। সেখানেই ঘটে যায় এই অঘটন। কংগ্রেস কর্মীদের দাবী এই যে, সন্তোখ রাহুল গান্ধীর পাশেই হাঁটছিলেন। এই সময় হঠাৎ তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হওয়ায় বুকে হাত চেপে তিনি প্রায় শুয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা জানান যে, কোনো কারণে তাঁর হৃদ স্পন্দন খুব দ্রুত হয়ে গিয়েছিল। হতে পারে তিনি আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা শুরু করার আগেই তিনি তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
#WATCH | Punjab: Congress MP Santokh Singh Chaudhary was taken to a hospital in an ambulance in Ludhiana, during Bharat Jodo Yatra. Details awaited.
(Earlier visuals) pic.twitter.com/upjFhgGxQk
— ANI (@ANI) January 14, 2023
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সন্তোখ চৌধুরী এতদিন নিজের দায়িত্ব খুব নিষ্ঠার সাথেই করে আসছিলেন। যদিও তিনি একজন আইনজীবীও ছিলেন তবুও জলন্ধরের সাংসদ হিসেবে কাজ করে গেছেন। তাছাড়া আগে পাঞ্জাবের ক্যাবিনেটের মন্ত্রীর পদেও কাজ করেছেন। এবং সম্প্রতি অর্থাৎ ২০১৯ সালে তিনি লোকসভার আসনে মনোনীত হন।